মৃত সন্দীপ যাদব। ছবি: সংগৃহীত।
দেশের ছ’টি রাজ্যে খুন, লুঠতরাজ, নাশকতা-সহ বিভিন্ন অভিযোগে ৫০০-রও বেশি মামলা ছিল তাঁর বিরুদ্ধে। মাথার দাম ছিল ৮৩ লক্ষ টাকা। বুধবার রাতে বিহারের গয়ায় মৃত অবস্থায় পাওয়া গেল সেই মাওবাদী নেতা সন্দীপ যাদবকে। তাঁর মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে এখনও পুলিশ-প্রশাসনের তরফে কিছু জানানো হয়নি।
গয়ার পুলিশ সুপার (এসএসপি) হরপ্রীত কৌর বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন, বাঁকেবাজার ব্লকের বাবুরামডি গ্রামে সন্দীপের বাড়ি। সেখানেই বুধবার রাতে তাঁর রহস্যজনক ভাবে মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে রাতেই গ্রামে পৌঁছয় অদূরের লুতুরা ফাঁড়ির পুলিশ। ঘটনাস্থলে যান হরপ্রীত-সহ জেলা পুলিশের কর্তারাও। সন্দীপের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য রাতেই গয়ার অনুগ্রহ নারায়ণ মগধ মেডিক্যাল কলেজ হাসাপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
সন্দীপের ছেলে রাহুল বৃহস্পতিবার বলেন, ‘‘বাবা বেশ কিছু দিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন। তাঁর চিকিৎসা চলছিল। ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কারণে মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে।’’ স্থানীয় ইমামগঞ্জ থানার ওসি পাপ্পু শর্মা বলেন, ‘‘ময়নাতদন্তের পরই মৃত্যুর কারণ বলা সম্ভব হবে।’’
পুলিশ সূত্রের খবর, প্রায় ২৫ বছর আগে নকশালপন্থী সংগঠনে যোগ দিয়েছিলেন সন্দীপ। তাঁর বিরুদ্ধে বিহার, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা, ছত্তীসগঢ়, পশ্চিমবঙ্গে একাধিক গুরুতর ফৌজদারি মামলা রয়েছে। বিহার-ঝাড়খণ্ড স্পেশাল এরিয়া কমিটির কমান্ডারও ছিলেন তিনি। তবে বছর কয়েক আগে সংগঠনের একাংশের সঙ্গে তাঁর দূরত্ব তৈরি হয়েছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy