নগরের নিজস্ব প্রাণী বেছে নিল গুয়াহাটি। স্কুলের বুথ, ‘অনলাইন’ ভোটে নরম খোলের কচ্ছপ, হাড়গিলাকে পিছনে ফেলল গাঙ্গেয় শুশুক। উত্তর-পূর্বের সব চেয়ে বড় মহানগর হওয়ার পাশাপাশি গুয়াহাটি ইন্দো-বর্মা জীব-বৈচিত্র্য ‘হটস্পট’-এর অঙ্গও। গুয়াহাটিতে ১৮টি পাহাড়, দু’টি অভয়ারণ্য, আটটি সংরক্ষিত অরণ্য এবং একটি রামসার জলাশয় রয়েছে। শহরের বুক চিরে গিয়েছে ব্রহ্মপুত্র। ফলে জীব-বৈচিত্র্য আরও বেড়েছে। প্রথম-দ্বিতীয়-তৃতীয় তফসিলভুক্ত অনেক প্রাণীর বাস এখানে। তবে নগরায়নের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে পাহাড় কাটা, জলাশয় বোজানো ও অরণ্য ধ্বংস বেড়েছে এখানে। তাই কমছে প্রাণীর সংখ্যাও। নাগরিকদের সচেতন করতেই কামরূপ মহানগর জেলা প্রশাসন, রাজ্য বায়ো-ডাইভার্সিটি বোর্ড, বন দফতর ও হেল্প আর্থ চলতি বছরের মার্চ মাসে নগরের প্রতীক প্রাণীর ধারণা নিয়ে আসে। জেলাশাসক এম আঙ্গামুথু জানান পোস্টার, টিভি ও রেডিও অনুষ্ঠান, সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দেওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন স্কুল-ক্লাবে পশুপ্রেমী সংগঠনগুলির সঙ্গে হাত মিলিয়ে সংরক্ষণ ও প্রাণী-প্রতীক বাছাই করার ব্যাপারে কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছিল।
গুয়াহাটির নিজস্ব প্রতীক প্রাণী হিসেবে কালো নরম খোলের কচ্ছপ, হাড়গিলা ও গাঙ্গেয় শুশুককে বেছে নেওয়া হয়েছিল। তিনটিই বিপন্ন প্রজাতির। কচ্ছপগুলি পাওয়া যায় কামাখ্যা, উগ্রতারা মন্দিরে। হাড়গিলা পাওয়া যায় দদরা, বরবরি, দীপর বিল এলাকায়। বর্তমানে বিশ্বে ১ হাজার ২০০টির মতো হাড়গিলা রয়েছে। ২০০৫ সালে রাজ্যে আড়াইশো শুশুক ছিল। সংখ্যা বেড়ে এখন রাজ্যে কমবেশি ৬৩৫-৬৫০টি শুশুক আছে। ব্রহ্মপুত্র, কুলসি নদীতে এদের দেখা মেলে। সিদ্ধান্ত হয়, ফেসবুক-ওয়েবসাইটে অনলাইন ভোট দেওয়া হবে। ওয়েবসাইটে তিনটি প্রাণী সম্পর্কে ছবি-তথ্য-ভিডিও আপলোড করা হয়। সেই সঙ্গে শহরের ৭৬টি স্কুলে ভোট দেওয়ার বুথ গড়া হয়েছিল। গত কাল বিশ্ব পরিবেশ দিবসে ছিল ভোটদানের শেষ তারিখ। আজ ঘোষণা করা হয় ফলাফল। ভোটে জিতেছে শুশুক। আঙ্গামুথু জানান, মোট ৬০ হাজার ৩টি ভোটের মধ্যে শুশুক পেয়েছে ২৪ হাজার ২৪৭টি ভোট। হাড়গিলা পেয়েছে ১৮ হাজার ৪৫৪টি ভোট ও কচ্ছপ পেয়েছে ১৭ হাজার ৩০২টি ভোট।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy