Advertisement
১১ জুন ২০২৪
Newborn with twins

নিজেরই ভাইকে পেটে নিয়ে জন্মাল শিশু

মাতৃ গর্ভে থাকার সময়েই স্ক্যান করে তার শরীরে কিছু অস্বাভাবিকতা দেখেছিলেন চিকিত্সকরা। ৯ দিন বাদে তার জন্মের পর দেখা গেল পেটে রয়েছে আরও একটি শিশু। ২০ জুলাই মহারাষ্ট্রের মুম্ব্রার বিলাল হাসপাতাল সাক্ষী থেকেছে এই ঘটনার।

এটা মনোজাইগোটিক টুইন প্রেগন্যান্সির ঘটনা।

এটা মনোজাইগোটিক টুইন প্রেগন্যান্সির ঘটনা।

সংবাদ সংস্থা
শেষ আপডেট: ০১ অগস্ট ২০১৭ ১৩:৪৩
Share: Save:

মাতৃ গর্ভে থাকার সময়েই স্ক্যান করে তার শরীরে কিছু অস্বাভাবিকতা দেখেছিলেন চিকিত্সকরা। ৯ দিন বাদে তার জন্মের পর দেখা গেল পেটে রয়েছে আরও একটি শিশু। ২০ জুলাই মহারাষ্ট্রের মুম্ব্রার বিলাল হাসপাতাল সাক্ষী থেকেছে এই ঘটনার।

হাসপাতালের রেডিওলজিস্ট ভাবনা থোরাট জানিয়েছেন, ৭ সেন্টিমিটার ওই ভ্রুণের মস্তিষ্ক সম্পূর্ণ গঠিত হয়ে গিয়েছিল। তৈরি হয়ে গিয়েছিল হাত, পা। ১৯ বছরের মা পুত্রসন্তানের জন্ম দেওয়ার পরই শিশুর অস্ত্রোপচার করে ভ্রুণটিকে বের করা হয়। টুইন প্রেগন্যান্সির এই বিরল ঘটনাকে বলা হয় ‘ফিটাস ইন ফেটু’।

আরও পড়ুন:

জন্মেই ৬ বার হার্ট অ্যাটাক! ১২ ঘণ্টার অস্ত্রোপচার ফেরাল মায়ের কোলে

সদ্যোজাতদের জন্ডিস রোখার পথ দেখিয়ে চমক ভারতীয়ের

ভাবনা বলেন, সারা বিশ্বে এই ঘটনা দুশোয় একটা দেখা যায়। জন্মের পর স্ক্যান করে আমি ভ্রুণের হাত, পা দেখতে পেয়েছিলাম। দেখতে পেয়েছিলাম মাথার খুলিও। প্যারাসাইটিক টুইনের ক্ষেত্রে খুলি তৈরি হয় না। ‘ডেইলি মেল’-র ওই প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, এরপরই শিশুটিকে থানের টাইটান হাসাপাতালে পাঠানো হয় অস্ত্রোপচারের জন্য। সেখানে অস্ত্রোপচার করে ১৫০ গ্রামের ভ্রুণটিকে বের করেন নীনা নিচলানি।

ঠিক কী ঘটেছিল?

নিচলানি জানান, এটা মনোজাইগোটিক টুইন প্রেগন্যান্সির ঘটনা। মায়ের শরীরে দু’টি ভ্রুণ তৈরি হয়েছিল। যমজ শিশুর এ ক্ষেত্রে একটিই প্লাসেন্টা থাকে। একটি ভ্রুণ অন্যটিকে ঘিরে ফেলে এবং পুষ্টিও শুষে নেয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দু’টি ভ্রুণেরই মৃত্যু হতে পারে। এই ঘটনাকে ফিটাস ইন দ্য ফেটু বলা হয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Newborn Twins Pregnant Offbeat India
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE