লালুর বাড়িতে ইফতার পার্টিতে নীতীশ। ছবি: পিটিআই
রামনাথ কোবিন্দ পর্বের পর এই প্রথম মুখোমুখি হলেন লালুপ্রসাদ যাদব আর নীতীশ কুমার। শুক্রবার সন্ধ্যায় আরজেডি প্রধান লালুপ্রসাদের বাড়িতে ইফতার পার্টিতে যোগ দেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী। ইফতারে যোগ দেওয়ার জন্য নীতীশকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন লালু নিজেই। বিজেপির রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী রামনাথ কোবিন্দকে সমর্থনের কথা ঘোষণার পর লালুর এই আমন্ত্রণে নীতীশ সাড়া দেবেন কি না, তা নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছিল। আজ সেই জল্পনায় জল ঢাললেন নীতীশ নিজেই।
গত সোমবার রামনাথ কোবিন্দকে সমর্থনের কথা ঘোষণা করেন নীতীশ। যাকে ‘একটি ঐতিহাসিক ভুল’ বলে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি তাঁর জোট সঙ্গী লালুপ্রসাদ। চটজলদি নীতীশের ঘোষণার পর বিহারে আরজেডি-জেডি(ইউ) এবং কংগ্রেস জোট সরকারের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
পাশাপাশি গতকাল, বৃহস্পতিবার, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে নিজেদের প্রার্থী ঘোষণা করেছে বিরোধীরা। লোকসভার প্রাক্তন অধ্যক্ষ, ‘বিহার কি বেটি’ মীরা কুমারকে রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী ঘোষণা করার পর, বিষয়টি নিয়ে নীতীশ কুমারের সঙ্গে কথা বলবেন বলেও বৃহস্পতিবার জানিয়েছিলেন লালু। নীতীশকে তাঁর সিদ্ধান্ত ভেবে দেখতে অনুরোধ করবেন বলেও বলেন লালু।
আরও পড়ুন: মোদী-শাহ জুটির শক্তি প্রদর্শনের মাঝে মনোনয়ন জমা দিলেন রামনাথ
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের ধারণা, রাষ্ট্রপতি নির্বাচন ঘিরে বিহারের জোট রাজনীতিতে যাতে এখনই কোনও জটিলতা তৈরি না হয়, সে বিষয়ে সচেতন নীতীশ। তাই লালুপ্রসাদের আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে জোট অক্ষুণ্ণ থাকার বার্তা দিলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী।
২৪৩ আসন বিশিষ্ট বিহার বিধানসভায় লালুপ্রসাদের আরজেডির দখলে ৮০ এবং কংগ্রেসের দখলে ২৭ আসন। যেখানে নীতীশ কুমারের জেডি(ইউ)-এর বিধায়ক সংখ্যা ৭১। অপর দিকে শুধুমাত্র বিজেপির হাতেই রয়েছে ৫৩ জন বিধায়ক। এনডিএ-র সব দল মিলিয়ে আসন সংখ্যা ৫৮। আরজেডি-কংগ্রেস মহাজোট ভেঙে বেরিয়ে গেলেও বিজেপির সমর্থন পেলে সরকার টিকে যাবে নীতীশের। কিন্তু, জোট ভাঙলে রাজনৈতিক জটিলতা তৈরি হওয়ার শঙ্কা থাকছেই। রাজনৈতিক মহলের মতে, এখনই কোনও জটিলতা যাতে তৈরি না হয়, সে-বিষয়ে সচেতন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy