বিজেপির পালের হাওয়া কাড়তে উচ্চবর্ণের ভোটারদের কাছে টানতে উদ্যোগী হলেন নীতীশ কুমার।
রাজপুত সমাজের পাশে থাকার বার্তা দিতে আজ বিহারের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা অনুগ্রহ নারায়ণ সিংহের জন্মতিথির অনুষ্ঠানে হাজির হন মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ। তাঁর সঙ্গে ছিলেন অনুগ্রহ নারায়ণের পৌত্র নিখিল কুমার।
স্বাধীনতার আগে থেকেই বিহারের রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ছিলেন অনুগ্রহ নারায়ণ সিংহ। দলীয় নেতা-কর্মী-সমর্থকরা তাঁকে ‘বিহার বিভূতি’ বলে ডাকতেন। রাজপুত সম্প্রদায়ে তাঁর প্রভাব ছিল অপরিসীম। স্বাধীনতার পর বিহারের প্রথম উপমুখ্যমন্ত্রী হন তিনি। তাঁর ছেলে সত্যেন্দ্র নারায়ণ সিংহ বিহারের মুখ্যমন্ত্রীও হয়েছেন।
সত্যেন্দ্রবাবুর ছেলে নিখিল কুমার অবশ্য সরাসরি রাজনীতিতে যোগ দেননি। দিল্লি পুলিশের প্রাক্তন কমিশনার, এনএসজি-র ডিরেক্টর জেনারেল ছিলেন তিনি। পরে কেরল ও নাগাল্যান্ডে রাজ্যপাল নিযুক্ত হন।
রাজনৈতিক শিবিরের বক্তব্য, উচ্চবর্ণের ভোট টানতে বিহারের ঔরঙ্গাবাদ লোকসভা কেন্দ্রের প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদকেই সামনে রাখতে চাইছেন নীতীশ। সে কারণেই আজ বাঢ়় ও পটনা কলেজের দু’টি সরকারি অনুষ্ঠানে সভাপতি করা হয় নিখিল কুমারকেই। উল্লেখ্য, দিল্লিতে ভূমিহার সমাজ কবি রামধারী সিংহ দিনকরের স্মরণে অনুষ্ঠান করেছিল। তার আয়োজক ছিলেন বিজেপি নেতা সি পি ঠাকুর। সেখানে নরেন্দ্র মোদী হাজির হওয়ায় ভূমিহার ব্রাহ্মণ সমাজে বিজেপির ভোট ব্যাঙ্ক সুরক্ষিত হয়।
কংগ্রেসের বক্তব্য, বিহারের প্রথম মুখ্যমন্ত্রী শ্রীকৃষ্ণ সিংহ ভূমিহারদের সর্বমান্য নেতা ছিলেন। কিন্তু হাইকমান্ডের কাছে তাঁর গুরুত্ব না থাকায় গোটা ভোটব্যাঙ্ক বিজেপির দিকে চলে গিয়েছে। একই ভাবে রাজপুত নেতা অনুগ্রহ নারায়ণ সিংহকেও সে ভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ রয়েছে। জেডিইউ-আরজেডি জোটের নেতাদের একাংশ বলছেন— কংগ্রেসের সেই ভুলের পুনরাবৃত্তি করতে রাজি নন নীতীশ। এ দিন তাঁর পদক্ষেপে তা স্পষ্ট হয়েছে।
কংগ্রেস হাইকমান্ডের কাছে ইতিমধ্যেই দলীয় পদে উচ্চবর্ণের নেতা নিয়োগের অনুরোধ জানিয়েছেন নীতীশ। তাঁকে যোগ্য সঙ্গত দিয়েছেন জোটসঙ্গী লালুপ্রসাদ। বিহারের দুই নেতার অনুরোধ পেয়ে নড়়চড়়ে বসে কংগ্রেস হাইকম্যাণ্ড। দলীয় নেতাদের এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে সে পথে এগোতেও শুরু করেছে বিহার কংগ্রেস।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy