আলফা, এনএসসিএন-এর পর এ বার এনএলএফটি। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক এবং ত্রিপুরা সরকারের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছে রাজ্যে নিষিদ্ধ ওই জঙ্গিগোষ্ঠীর নেতারা। প্রশাসনিক সূত্রে খবর, ৩ বা ৪ এপ্রিল মেঘালয়ের শিলংয়ে ত্রিপাক্ষিক বৈঠকটি হওয়ার কথা।
ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় সরকার এ কথা আমাদের জানিয়েছে। আমরা শান্তি চাই। সে কারণেই বৈঠকে বসতে রাজি হয়েছি।’’ তিনি জানান, ত্রিপুরা পুলিশের ডিজি এবং স্বরাষ্ট্র দফতরের সচিব ওই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন।
প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, আত্মসমর্পণ করতে চেয়ে কয়েক মাস আগে এনএলএফটি-র তরফে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে চিঠি পাঠানো হয়েছিল। মন্ত্রক এ নিয়ে রাজ্য সরকারের মতামত জানতে চায়। ত্রিপুরা সরকার সম্মতি জানায়। তার জেরেই ত্রিপাক্ষিক বৈঠক হতে চলেছে।
রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতরের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘অসমে আলফা, নাগাল্যান্ডে এনএসসিএন-এর মতো ত্রিপুরায় ‘ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্ট অব ত্রিপুরা’ (এনএলএফটি) জঙ্গি বাহিনী ক্রমে দুর্বল হচ্ছে। তাই শান্তি বৈঠকের মাধ্যমে তারা সমাজের মূলস্রোতে ফিরতে আগ্রহী। তিনি জানান, প্রায় এক দশক ধরে জঙ্গি বিরোধী অভিযান চালাচ্ছে ত্রিপুরা পুলিশ। পাশাপাশি বাংলাদেশও ভারত-বিরোধী জঙ্গি সংগঠনগুলির বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছে। এ সবের জেরে ভাঙন ধরেছে এনএলএফটি সংগঠনেও। ত্রিপুরার উপজাতি সমাজের মধ্যেও জঙ্গি আন্দোলনের প্রভাব কমেছে।
ত্রিপুরা সফরে এসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ, উত্তর-পূর্বাঞ্চলের উন্নয়নের ক্ষেত্রে জঙ্গি সমস্যাকে বড় বাধা বলে চিহ্নিত করেছিলেন। জঙ্গিদের সমাজের মূলস্রোতে ফেরার আবেদনও জানিয়েছিলেন। রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতরের অন্য এক কর্তা বলেন, ‘‘অসমে বড়ো জঙ্গিদের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনী কয়েক মাস ধরে ব্যাপক অভিযান চালাচ্ছে। তাতে উত্তর-পূর্বের অন্য জঙ্গি সংগঠনগুলিতে আতঙ্ক ছড়িয়েছে।’’ ওই আমলার বক্তব্য, তারই পরিপ্রেক্ষিতে ‘স্বাধীন ত্রিপুরা’র দাবি সরিয়ে রেখে শান্তি আলোচনার পথে এগোচ্ছে এনএলএফটি জঙ্গিগোষ্ঠী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy