ফাইল চিত্র।
কুতুব মিনার চত্বরে পুরাতাত্ত্বিক সর্বেক্ষণ বিভাগকে দিয়ে খননের কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানালেন কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রী জিকে রেড্ডি। এর আগে সংবাদমাধ্যমে এই সংক্রান্ত যে খবর প্রকাশিত হয়, তাতে বলা হয়েছিল, মিনার থেকে ১৫ মিটার দূরে ওই খননকাজ শুরু করার নির্দেশ দিয়েছে সংস্কৃতি মন্ত্রক। সেই সঙ্গে পুরাতাত্ত্বিক সর্বেক্ষণ বিভাগকে এর রিপোর্টও জমা দিতে বলা হয়েছে। তবে মন্ত্রী রবিবার সংবাদসংস্থা এএনআইকে জানান এখনও পর্যন্ত এ নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। শনিবার সংস্কৃতি সচিব কুতুবমিনার চত্বর পরিদর্শন করেন। তাঁর সঙ্গে কয়েকজন ইতিহাসবিদ এবং বিভাগীয় আধিকারিক এবং গবেষকও ছিলেন। এর পরই নাকি পুরাতাত্ত্বিক সর্বেক্ষণকে ওই নির্দেশ দেওয়া হয়। রবিবার রাতে মন্ত্রক জানায়, সচিবের ওই সফর রুটিন সফর ছিল।
কুতুবমিনার কার তৈরি? এই প্রশ্নেই সম্প্রতি বিতর্ক শুরু হয়েছে। হিন্দুত্ববাদীদের একাংশের দাবি, কুতুবুদ্দিন আইবক ওই মিনার তৈরি করেননি। হিন্দুরাজা বিক্রমাদিত্য সূর্যের গতিবিধি পর্যবেক্ষণের জন্য ওই মিনার নির্মাণ করান। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের মুখপাত্র বিনোদ বনশল দাবি করেছিলেন, কুতুব মিনারের প্রকৃত নাম বিষ্ণু স্তম্ভ। ওই মিনার তৈরিতে ব্যবহার করা হয়েছিল ২৭টি হিন্দু এবং জৈন মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ থেকে নেওয়া নির্মাণ সামগ্রী। কুতুব মিনারের ভেতর থেকে ১২০০ বছরের পুরনো নৃসিংহ, গণেশ, কৃষ্ণের মূর্তি উদ্ধারের পর মিনারের নাম পরিবর্তন করে বিষ্ণু স্তম্ভ করার দাবি জানিয়ে হিন্দুত্ববাদী বিভিন্ন গোষ্ঠী বিক্ষোভও দেখিয়েছিল। গত মাসে দিল্লি হাই কোর্ট পুরাতাত্ত্বিক সর্বেক্ষণকে নির্দেশ দেয় কুতুবমিনার থেকে গণেশের মূর্তি দু’টি সরানো যাবে না।হরিশঙ্কর জৈন নামে এক আইনজীবী দিল্লি হাই কোর্টে দাবি করেন, কুতুবুদ্দিন আইবক ২৭টি মন্দির ধ্বংস করেন। মহম্মদ ঘুরির এই সেনাপতি ওই ধ্বংসাবশেষের উপকরণ দিয়েই মিনার চত্বরে কুয়াত-উল-ইসলাম নামে একটি মসজিদ খাড়া করেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy