Advertisement
০১ নভেম্বর ২০২৪

ভাইব্র্যান্ট গুজরাতের মঞ্চে নোবেলজয়ীদের মুখে দেশের শিক্ষানীতির সমালোচনা

ঘটা করে বিশ্বের ন’জন নোবেলজয়ীকে ‘ভাইব্র্যান্ট গুজরাতে’র আসরে নিয়ে গিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদী। আগের রাতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁরা নৈশভোজও সেরেছেন। কিন্তু বৃহস্পতিবার মঞ্চে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তাঁদের অনেকে দেশের শিক্ষানীতির সমালোচনাই করে গেলেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৩ জানুয়ারি ২০১৭ ০২:৪৮
Share: Save:

ঘটা করে বিশ্বের ন’জন নোবেলজয়ীকে ‘ভাইব্র্যান্ট গুজরাতে’র আসরে নিয়ে গিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদী। আগের রাতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁরা নৈশভোজও সেরেছেন। কিন্তু বৃহস্পতিবার মঞ্চে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তাঁদের অনেকে দেশের শিক্ষানীতির সমালোচনাই করে গেলেন।

মোদীর রাজ্যে হাজির নোবেলজয়ীদের সিংহভাগই বিজ্ঞানে নোবেল পেয়েছেন। ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মলিকিউলার অ্যান্ড সেল বায়োলজির অধ্যাপক র‌্যান্ডি শেকম্যান যেমন। ২০১৩ সালে নোবেল শারীরবিদ্যা ও মেডিসিনে নোবেল পেয়েছেন তিনি। ভারত সম্পর্কে যথেষ্ট ওয়াকিবহাল। তিনি বলেন, ভারতের ছাত্ররা জানেন তাঁদের কী হাল। এখানে সঠিক সুযোগ তাঁরা পান না। র‌্যান্ডির কথায়, ‘‘মেধাকে ধরে রাখার ব্যাপারে জোর দিতে হবে। অনেক ছাত্র আমেরিকায় যান পড়াশোনা করতে। তারপর সমান মর্যাদার সুযোগ এ দেশে পান না বলেই সেখানে থেকে যান।’’

রসায়নে ২০০৯ সালে নোবেল পাওয়া ভারতেরই বেঙ্কটরামন রামাকৃষ্ণণ বলেন, ‘‘প্রত্যেক বছর কয়েক লক্ষ নতুন ছাত্র গবেষণায় আসছেন। কিন্তু ভাল বিশ্ববিদ্যালয় পাচ্ছেন না। আরও অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ার প্রয়োজন আছে।’’ মোদীরই হাত ধরে জনপ্রিয় হওয়া ‘ভাইব্র্যান্ট গুজরাতে’র খোলা মঞ্চে এমন সমালোচনা খানিকটা অপ্রত্যাশিতই ছিল। মোদী অবশ্য সে সময় মঞ্চে ছিলেন না। অস্বস্তি ঢাকতে বিজেপি এখন দাবি করছে, প্রধানমন্ত্রী হয়েই মোদী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে জোর দিয়েছেন। শিক্ষাবিদদের মতামতের সুযোগও করে দেওয়া হয়েছে। সরকার নিশ্চয়ই তাঁদের মতামতকে গুরুত্ব দেবে। র‌্যান্ডি নিজেও বলেই ফেলেন, ‘‘সরকার কি শুনছে আমার কথা? আশা করি শুনছে।’’

বাস্তবধর্মী গবেষণা না সারস্বত গবেষণা—এই ছিল এ দিনের আলোচনার বিষয়বস্তু। সেখানে অনেক ছাত্রছাত্রীও সরাসরি প্রশ্নের সুযোগ পান। তারই মধ্যে শিক্ষাক্ষেত্রের ত্রুটিগুলি নিয়ে সরব হন বৈজ্ঞানিকরা। তাঁদের মতে, ভারতে দশ হাজারে মাত্র চার জন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে মনোনিবেশ করেন। গত কয়েক বছরে চিন ও আমেরিকা এ ক্ষেত্রে অনেকটা এগিয়ে গিয়েছে। অথচ আগে ভারতই এগিয়ে ছিল।

সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সরব

ভাইব্র্যান্ট গুজরাত সম্মেলনে যোগ দিতে এসে লস্কর-ই-তইবা, জইশ-ই- মহম্মদ ও হিজবুল মুজাহিদিনের মতো পাকিস্তানি জঙ্গি সংগঠনগুলির কড়া সমালোচনা করলেন ফরাসি বিদেশমন্ত্রী জ্যঁ-মার্ক এরো। রাষ্ট্রপুঞ্জের প্রস্তাব অনুযায়ী জইশ প্রধান মাসুদ আজহারের উপর নিষেধাজ্ঞা জারিতে বাধা দেওয়ায় পরোক্ষে চিনের সমালোচনাও করেন।

অন্য বিষয়গুলি:

Vibrant Gujrat Modi Nobel
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE