প্রতীকী ছবি।
ঠিক মতো পরিষ্কার না করেই রিপোর্ট পেশ হচ্ছে ‘অল ক্লিনিড’! বিকল হওয়া এসি মেশিন পরীক্ষা না করেই রিপোর্ট দেওয়া হচ্ছে। এই ফাঁকিবাজির দিন শেষ। সশরীরে উপস্থিত না থেকেও এ বার সাফাইকর্মীদের নজরবন্দি করতে চলেছে নর্দান রেল। সৌজন্য হোয়াটসঅ্যাপ।
রেলের পরিচ্ছন্নতা নিয়ে যাত্রীদের মধ্যে ক্ষোভ বরাবরই। লোকাল ট্রেন তো বটেই, দূরপাল্লার ট্রেনের ক্ষেত্রেও বরাবরই একই অভিযোগ করে আসছেন যাত্রীরা। সে দিকে নজর রেখে রেলের পরিষেবা আরও উন্নত করার লক্ষ্যেই এই উদ্যোগ বলে জানিয়েছেন নর্দান রেলওয়ের জেনারেল ম্যানেজার বিশেষ চৌবে।
কী ভাবে হোয়াটসঅ্যাপ রেলের পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে সাহায্য করবে?
রেল সূত্রের খবর, প্রতিটা ডিপার্টমেন্টের জন্য আলাদা আলাদা হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ তৈরি করা হবে। প্যান্ট্রি, বেড রোলস এবং অন্যান্য ডিপার্টমেন্ট এর আওতায় থাকবে। প্রতিদিন প্রতিটা বিভাগের অন বোর্ড হাউসকিপিং স্টাফরা পরিষ্কার করার পর সেই ছবি আপলোড করবেন সংশ্লিষ্ট হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে। ঠিকমতো পরিষ্কার হয়েছে কি না, তা ওই ছবিতেই দেখে নেবেন সিনিয়র অফিসারেরা।
আরও পড়ুন: হাঁসফাঁস গরম থেকে মুক্তি মিলল, কিন্তু এ বৃষ্টি সাময়িক
রেল সূত্রের খবর, এতে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার বিষয়টি খতিয়ে দেখতে সশরীরে উপস্থিত হতে হবে না অফিসারদের, ফলে সময় বাঁচবে। অন্যদিকে, রোজ হাউসকিপিং স্টাফদের উপর নজর রাখতে পারবেন অফিসারেরা।
তবে এখনও পর্যন্ত শুধুমাত্র নর্দান রেলই এই পদ্ধতির প্রয়োগ করতে চলেছে। নর্দান রেলওয়ের জেনারেল ম্যানেজার বিশেষ চৌবে বলেন, ‘‘প্যান্ট্রি, বেড রোলস-এর পরিচ্ছন্নতা এবং এয়ার কন্ডিশনারের সক্রিয়তা যাচাই করার জন্য ইতিমধ্যে আলাদা হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ চালু করেছে রেল।’’
তবে এই পদ্ধতি আদতে কতটা সহায়ক হবে তা নিয়ে সংশয় থাকছেই। রেল যদি শুধুমাত্র হাউসকিপিং স্টাফদের ছবির উপরই নির্ভরশীল হয়, তাহলে এমনও হতে পারে, শুধুমাত্র পরিষ্কার অংশেরই ছবি স্টাফেরা আপলোড করলেন গ্রুপে। সে ক্ষেত্রে সিনিয়র অফিসারদের বোঝার কোনও উপায় থাকবে না যে আদৌ কতটা পরিষ্কার করা হয়েছে। হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ মারফত পরিচ্ছন্নতা মনিটরিংয়ের এই দুর্বলতার সঙ্গে কী ভাবে মোকাবিলা করা হবে, তা অবশ্য স্পষ্ট করেনি রেল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy