Advertisement
০৪ মে ২০২৪

খাপলাঙের শূন্য আসনে কন্যাক

কেন্দ্রের ধারণা, এতে যৌথ মঞ্চে নেতৃত্বের সংঘাত অনিবার্য। খাপলাঙের অবর্তমানে এক দিকে যেমন এনএসসিএন (খাপলাং) দুর্বল হবে, তেমনই দুর্বল হবে যৌথ মঞ্চের সদস্য-সংগঠনগুলি—আলফা, এনডিএফবি, কেএলও প্রভৃতি।

দায়িত্বে: জঙ্গি-জওয়ানদের সঙ্গে খাপলাঙ প্রধান খাংঘো কন্যাক। শনিবার মায়ানমারে। —নিজস্ব চিত্র।

দায়িত্বে: জঙ্গি-জওয়ানদের সঙ্গে খাপলাঙ প্রধান খাংঘো কন্যাক। শনিবার মায়ানমারে। —নিজস্ব চিত্র।

রাজীবাক্ষ রক্ষিত
গুয়াহাটি শেষ আপডেট: ১১ জুন ২০১৭ ০৩:১৩
Share: Save:

খাপলাঙের মৃত্যুতে এনএসসিএন (খাপলাং)-এর দায়িত্ব নিলেন জঙ্গি সংগঠনটির ‘সেকেন্ড-ইন-কম্যান্ড’, ভাইস চেয়ারম্যান খাংঘো কন্যাক। উত্তর-পূর্বের বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের যৌথ মঞ্চ ‘ইউএনএলএফডব্লু’-র রাশও হাতে রাখতে চাইছেন কন্যাক। এতদিন খাপলাঙের হাতে সেই রাশ থাকলেও তাঁর মৃত্যুর পর আলফা নেতা পরেশ বরুয়া যৌথ মঞ্চের নেতৃত্বের অন্যতম দাবিদার। কিন্তু পরেশের হাতে সেই রাশ তুলে দিতে নারাজ এনএসসিএন (খাপলাং)-এর নেতারা।

কেন্দ্রের ধারণা, এতে যৌথ মঞ্চে নেতৃত্বের সংঘাত অনিবার্য। খাপলাঙের অবর্তমানে এক দিকে যেমন এনএসসিএন (খাপলাং) দুর্বল হবে, তেমনই দুর্বল হবে যৌথ মঞ্চের সদস্য-সংগঠনগুলি—আলফা, এনডিএফবি, কেএলও প্রভৃতি। এতদিন ‘বর্মি’ খাপলাঙের ছত্রছায়ায় থেকে ভারত-মায়ানমার সীমান্তের ওপারে বসে ভারতে নাশকতা ঘটাচ্ছিল বিভিন্ন সংগঠন। কিন্তু খাপলাঙের মৃত্যুর পর মায়ানমারের মাটি এই জঙ্গি সংগঠনগুলিকে ব্যবহার করতে সে দেশের সরকার আর দেবে না বলেই মনে করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কিরেন রিজিজু।

রিজিজু খাপলাং গোষ্ঠীতে থাকা ভারতীয় নাগাদের এখনই আত্মসমর্পণ করে সরকারের দেওয়া ‘পুনর্বাসন প্যাকেজ’ গ্রহণ করার আহ্বান জানান। রিজিজু এ দিন গুয়াহাটিতে বলেন, ‘‘আলফা (স্বাধীন)-সহ উত্তর-পূর্বের জঙ্গিগোষ্ঠীগুলিও এ বার সমস্যায় পড়বে। মায়ানমারে জন্মের সূত্রে মায়ানমার সরকার খাপলাংয়ের সংগঠনকে আশ্রয় দিলেও তিনি মারা যাওয়ার পরে মায়ানমার সেনা ভারতীয় জঙ্গিদের উৎখাত করতে পারে।’’ খাপলাংয়ের সঙ্গে থাকা ভারতীয় নাগাদের উদ্দেশে তাঁর আহ্বান, ‘‘মূল স্রোতে ফিরে আসুন। সরকার পুনর্বাসন দেবে।’’ এরই পাশাপাশি, খাপলাঙের মৃত্যুর প্রেক্ষিতে সতর্ক করা হয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনী ও সীমান্ত রক্ষীদের।

এ দিকে, আজ প্রয়াত খাপলাঙের অন্ত্যেষ্টি সম্পন্ন হয়েছে তাঁর জন্মস্থান, পাংসাউ পাসের কাছে ওয়াংখাম গ্রামে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE