ওড়িশা পুলিশের তরফে উল্কিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। ছবি: এক্স।
শরীরে উল্কি থাকলে তা অবিলম্বে সরিয়ে ফেলতে হবে। রাজ্যের সমস্ত পুলিশকর্মী এবং আধিকারিকদের এমনটাই নির্দেশ দিল ওড়িশা সরকার। সম্প্রতি রাজ্য সরকারের তরফে একটি বিবৃতি জারি করে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পুলিশদের। বলা হয়েছে, পুলিশে কর্মরত কোনও ব্যক্তির শরীরের দৃশ্যমান কোনও জায়গায় যদি উল্কি (ট্যাটু) থাকে, তা সরিয়ে ফেলতে হবে। উল্কি সরানোর জন্য ১৫ দিন সময় দেওয়া হয়েছে।
ওড়িশার টুইন সিটি কমিশনারেট পুলিশের ডেপুটি কমিশনার (নিরাপত্তা) এ বিষয়ে বিবৃতি জারি করেছেন। সেখানে জানানো হয়েছে, উর্দিধারী আধিকারিকদের গ্রহণযোগ্যতা, বিশ্বাসযোগ্যতা এবং বিশুদ্ধতা বজায় রাখতে উল্কি সরানোর নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। শরীরের কোনও দৃশ্যমান অঙ্গে উল্কি নিয়ে তাই কেউ পুলিশের চাকরি করতে পারবেন না। মূলত ভুবনেশ্বর এবং কটকের নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে টুইন সিটি কমিশনারেট।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘‘পুলিশের অনেককেই আজকাল শরীরে উল্কি নিয়ে ঘুরতে দেখা যাচ্ছে। এতে ওড়িশা পুলিশের ভাবমূর্তি কলুষিত হচ্ছে। কারণ এই উল্কিগুলি আপত্তিকর, অশ্লীল এবং অবমাননাকর। এ বিষয়ে বিশদে আলোচনার পর আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, পুলিশের উর্দি পরার পর কারও দেহে উল্কি দেখা গেলে তা বরদাস্ত করা হবে না। বিবৃতি জারির দিন থেকেই এই নির্দেশ কার্যকর হবে।’’ যাঁদের শরীরে ইতিমধ্যে উল্কি রয়েছে, তাঁদের নামের একটি তালিকা প্রস্তত করছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। উল্কি সরানোর জন্য ১৫ দিন সময় দেওয়া হয়েছে তাঁদের।
ওড়িশা পুলিশের বিবৃতি অনুযায়ী, কোনও পুলিশকর্মী বা আধিকারিক যদি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শরীর থেকে উল্কি সরাতে না পারেন, তাঁদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত পদক্ষেপও করবেন কর্তৃপক্ষ। ওই বিবৃতিতেই পেশাদারিত্বের খাতিরে পুলিশকর্মীদের হাত, মুখ, ঘাড়ের মতো জায়গায় উল্কি আঁকা থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিয়েছেন ডেপুটি কমিশনার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy