দেহটিকে দশ টুকরো করে ব্যাগের মধ্যে ভরে বিভিন্ন জায়গায় ফেলে দিয়ে এসেছিল আততায়ীরা। তাতেও শেষ রক্ষা হল না। শেষ পর্যন্ত রবিবার সন্ধ্যায় পুলিশের হাতে ধরা পড়ে গেল তারা। রাঁচির এসপি (শহর) জয়া রায় জানান, ‘‘রাঁচির পান্ড্রার বাসিন্দা কোতয়াল বিহারি সিংহকে খুনের অভিযোগে তাঁর ভাগ্নে রামাধর সিংহ ও তাঁর দুই ছেলেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পারিবারিক জমি বিবাদের জেরেই এই খুন বলে জানা গিয়েছে।’’
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কোতয়াল বিহারী (৮৫) রাজ্য সরকারের বিদ্যুৎ দফতরের অবসরপ্রাপ্ত কর্মী। গত ২ সেপ্টেম্বর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। কোতোয়ালের পুত্র জানান, জমি সংক্রান্ত কাজে তাঁর বাবা গত ২ তারিখ আদালতে যান। তারপর আর বাড়ি ফেরেননি। থানায় নিখোঁজ ডায়রি করার পর পুলিশ তদন্ত শুরু করে। আদালত চত্বরের সিসিটিভি ক্যামেরায় দেখা যায়, আদালত থেকে কোতয়াল তাঁর ভাগ্নে রামাধরের মোটরসাইকেলের পিছনে চেপে যাচ্ছেন। রামাধরকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে তার কথায় অনেক অসঙ্গতি দেখতে পায় পুলিশ। পুলিশের দাবি, ক্রমাগত জেরার চাপে শেষ পর্যন্ত রামাধর ভেঙে পড়ে। সে মামাকে খুনের কথা স্বীকার করে। কোতোয়ালকে শ্বাসরোধ করে খুন করে টুকরো টুকরো করে কেটে ব্যাগের মধ্যে ভরে কোথায় কোথায় ফেলা হয়েছিল তাও রামাধর ও তার দুই ছেলেই পুলিশকে দেখিয়ে দেয়। রামধরের বাড়ির একটি ঘর থেকে কোতয়ালের কাটা হাতও পায় পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy