গজেন্দ্র চৌহান
পুণে ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া (এফটিআইআই)-র নতুন চেয়ারম্যান গজেন্দ্র চৌহানের ইস্তফার দাবিতে ছাত্রছাত্রীদের ধর্মঘট আজ চতুর্থ দিনে পড়ল। অনির্দিষ্ট কালের জন্য ধর্মঘটের হুমকি দিয়ে ছাত্র সংগঠন কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের দ্বারস্থ হলেও সরকারের তরফে এখনও পর্যন্ত এ নিয়ে সাড়া মেলেনি বলে তাঁদের দাবি।
ছাত্র সংগঠনের প্রধান হরিশঙ্কর নাচিমুথু এ দিন বলেন, ‘‘সব দাবি জানিয়ে কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকে আমরা চিঠি দিয়েছি। তবে সরকারের তরফে এখনও কোনও উত্তর মেলেনি।’’ ওই চিঠিতে কোন কোন দাবির উল্লেখ রয়েছে, তা জানাতে না চাইলেও তাঁদের মূল দাবি না মানা পর্যন্ত ধর্মঘট যে চলবে, সে কথা এ দিন স্পষ্টই জানিয়ে দেন তিনি।
বি আর চোপড়ার ‘মহাভারত’ সিরিয়ালে ‘যুধিষ্ঠির’ তথা বছর দশেক ধরে বিজেপি-র চেনা মুখ গজেন্দ্রকে সম্প্রতি ওই ফিল্ম ইনস্টিটিউটের চেয়ারম্যানের পদে নিয়োগ করার পর থেকে শুরু হয়েছে বিতর্ক। ছাত্রছাত্রীরা প্রতিবাদে ধর্মঘট শুরু করেছেন। মোদী সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগতে ছাড়ছেন না বিরোধীরাও। সোমবার স্বরাজ অভিযানের নেতা যোগেশ যাদব ছাত্রছাত্রীদের দাবিকে সমর্থন জানাতে ওই প্রতিষ্ঠানে যান। তিনি বলেন, ‘‘মোদী সরকার স্বশাসন বোঝে না। এই সরকার ক্ষমতায় আসার পর এটা প্রথম প্রতিষ্ঠান নয়, যার স্বশাসন নষ্ট হয়েছে।’’ তথ্যচিত্র নির্মাতা আনন্দ পটবর্ধনও প্রতিষ্ঠানে গিয়ে ছাত্রছাত্রীদের সমর্থন জানিয়ে বলেন, ‘‘বর্তমান সরকারের আমলে রাজনীতির প্রভাবে প্রতিষ্ঠানগুলির স্বশাসন নষ্ট হতে বসেছে। তাতে ছাত্রছাত্রীরা যে ভাবে রুখে দাঁড়িয়েছেন তা প্রশংসনীয়।’’
যাকে নিয়ে এত বিতর্ক সেই গজেন্দ্র চৌহান নিজে কী বলছেন?
ওই অভিনেতা-রাজনীতিকের কথা, ‘‘আমি দীর্ঘদিন ধরে অভিনয় ও রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। রাজনীতিকে কাজে লাগিয়ে এই পদ হাতাতে হতো, তা হলে অনেক আগেই তা করার চেষ্টা করতাম।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘নিজেকে প্রমাণ করতে চাই। আমার কাজ না দেখে আগে থেকে পড়ুয়াদের এ ভাবে প্রতিবাদ জানানো উচিত নয়। আমি তাঁদের সঙ্গে আলোচনা করতে চাই।’’ এর উত্তরে হরিশঙ্করের বক্তব্য, ‘‘চৌহান নয়, আমরা কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের সঙ্গে আলোচনা করব। তবে আমাদের মূল দাবি গজেন্দ্রর ইস্তফা না মানা পর্যন্ত ধর্মঘট চলবেই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy