ছবি: ফেসবুক।
সংখ্যালঘু উৎপীড়ন নিয়ে এত দিন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে উদ্বেগ জানিয়ে এসেছে ভারত। এ বার হরিদ্বারে ধর্ম সংসদে সংখ্যালঘুদের সম্পর্কে উত্তেজক মন্তব্যের প্রেক্ষিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে ইসলামাবাদে ভারতীয় হাই কমিশনের শীর্ষ কূটনীতিক এম সুরেশ কুমারকে ডেকে পাঠাল পাকিস্তানের বিদেশ মন্ত্রক। গত কয়েক দিনে নানা বিদেশি সংবাদমাধ্যমে হরিদ্বারের ঘটনা তুলে ধরে সমালোচনা করা হয়েছে। কূটনীতিকদের একাংশ মনে করছেন, পাকিস্তানের পদক্ষেপে আন্তর্জাতিক স্তরে মুখ পুড়ল ভারতের।
পাক বিদেশ মন্ত্রকের তরফে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, প্রকাশ্য সভায় যে ভাবে মুসলিমদের হত্যার ডাক দেওয়া হয়েছে, তা নিয়ে উদ্বিগ্ন পাকিস্তান। তাদের এই উদ্বেগ ভারত সরকারের কাছে পৌঁছে দিতে হাই কমিশনের শীর্ষ কূটনীতিককে ডেকে পাঠানো হয়েছে। পাক বিদেশ মন্ত্রক নিন্দা করে বলেছে, এখনও পর্যন্ত কেউ ক্ষমা চাননি। এমনকি ভারত সরকারও সে ভাবে পদক্ষেপ করেনি।
এর আগে পাকিস্তানে হিন্দু ও শিখদের উৎপীড়ন নিয়ে বার বার সরব হয়েছে ভারত। সম্প্রতি পাক পঞ্জাবের রহিম ইয়ার খান অঞ্চলে মন্দিরে ভাঙচুরের ঘটনাতেও উদ্বেগ জানিয়েছিল ভারত। তবে ভারতীয় সংখ্যালঘুদের অধিকার রক্ষায় পাকিস্তানের এই সক্রিয় অবস্থান ব্যতিক্রমীই।
১৭ থেকে ১৯ ডিসেম্বর হরিদ্বারে আয়োজিত ধর্ম সংসদে দাসনা দেবী মন্দিরের পুরোহিত যতি নরসিংহানন্দ মুসলিমদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার ডাক দিয়েছিলেন। আরও অনেকেই উত্তজক বক্তব্য রাখেন সেখানে। সেই ঘটনায় স্বামী ধর্মদাস, সাধ্বী অন্নপূর্ণা এবং ওয়াসিম রিজ়ভি থেকে ধর্মান্তরিত জিতেন্দ্র নারায়ণ সিংহ ত্যাগীর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়। যদিও গ্রেফতার হননি কেউই। উল্টে অভিযুক্ত সাধু ও সাধ্বীরাই পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন।
এ দিকে ছত্তীসগঢ়ের রায়পুরে ধর্ম সংসদ থেকে মোহনদাস কর্মচন্দ গাঁধীকে কটু মন্তব্য করে শিরোনামে আসা কালীচরণ মহারাজের বিরুদ্ধে ছত্তীসগঢ় ও মহারাষ্ট্রে একাধিক এফআইআর দায়ের হলেও কালীচরণ জানান, ওই মন্তব্যের জন্য কোনও অনুশোচনা তাঁর নেই। উল্টে যা বলেছেন, ঠিকই বলেছেন বলে দাবিও করেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy