সাংবাদিক বৈঠকে ধৃত জঙ্গি মহম্মদ ওয়াকার। ছবি: এএফপি।
বারামুলায় ফের জঙ্গি কার্যকলাপ বাড়াতে আসা এক পাকিস্তানি জঙ্গি গ্রেফতার হয়েছে বলে দাবি বাহিনীর। অন্য দিকে নিয়ন্ত্রণরেখায় বাণিজ্য বন্ধ ও বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা ইয়াসিন মালিকের মুক্তির দাবিতে এ দিন পথে নামেন পিডিপি নেত্রী মেহবুবা মুফতি।
আজ শ্রীনগরে মহম্মদ ওয়াকার আওয়ান নামে এক জঙ্গিকে সংবাদমাধ্যমের সামনে হাজির করে সেনা ও পুলিশ। তাদের দাবি, ওয়াকারের বাড়ি পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশের মিঁয়াওয়ালিতে। ওই জঙ্গি সাংবাদিকদের জানায়, পাকিস্তানে লস্করের হ্যান্ডলারেরা তাকে বলেছিল কাশ্মীরে ভারতীয় বাহিনী মহিলাদের ধর্ষণ করছে। পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের মুজ্ফফরাবাদে তাকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। কিন্তু কাশ্মীরে পা দিয়ে সে বুঝতে পারে তাকে মিথ্যে বলা হয়েছে।
পুলিশের দাবি, ওয়াকার আগে হান্দোয়ারা ও শ্রীনগরে জঙ্গি কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত ছিল। সম্প্রতি বারামুলায় জঙ্গি কার্যকলাপ বাড়ানোর জন্য তাকে ওই এলাকায় যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। কারণ, বারামুলাকে সম্প্রতি জঙ্গি প্রভাবমুক্ত এলাকা বলে ঘোষণা করেছিল প্রশাসন। ফলে সেখানে ফের কার্যকলাপ শুরু করার চেষ্টা করছিল জঙ্গি সংগঠনগুলি।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
পুলিশের দাবি, চলতি সপ্তাহের গোড়ার দিকে বারামুলা যাওয়ার পথে একটি চেকপোস্টে ওয়াকারের গাড়ি আটকায় পুলিশ। গাড়ির চালক একটি পুলিশের গাড়িতে ধাক্কা মারে। তার পরে গাড়ি ছেড়ে পালায়। ওয়াকারও পালানোর চেষ্টা করেছিল। কিন্তু তাড়া করে তাকে ধরে ফেলে পুলিশ। পুলিশের দাবি, গাড়ির চালক স্থানীয় বাসিন্দা। সে-ও লস্করের সদস্য। তবে তাকে এখনও গ্রেফতার করা যায়নি।
অন্য দিকে নিয়ন্ত্রণরেখায় বাণিজ্য বন্ধ রাখা, জামাত ই ইসলামির উপরে নিষেধাজ্ঞা ও ইয়াসিন মালিকের মুক্তির দাবিতে এ দিন পুলওয়ামায় বিক্ষোভ দেখান মেহবুবা মুফতি। পুলওয়ামার টাউন হল থেকে ডেপুটি কমিশনারের অফিস পর্যন্ত মিছিল করার পরে মেহবুবা বলেন, ‘‘ইয়াসিন মালিকের শরীর ভাল নেই। আমি দিল্লিকে বোঝাতে চাইছি, ওঁর অবস্থা আরও খারাপ হলে কাশ্মীরের পরিস্থিতিরও অবনতি হবে।’’ সন্ত্রাসে আর্থিক মদতের মামলায় বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা ইয়াসিন মালিককে গ্রেফতার করে দিল্লি নিয়ে যায় এনআইএ। আজ তাঁকে ২৪ মে পর্যন্ত বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে দিল্লির এনআইএ আদালত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy