কোমর জল ভেঙে দিল্লির রাস্তায় হেঁটে চলেছেন মানুষজন। ছবি: পিটিআই।
দিল্লির রাস্তায় থই থই করছে যমুনা নদীর জল। লালকেল্লার পর সুপ্রিম কোর্ট চত্বরও জলমগ্ন। ডুবে গিয়েছে বহু বাড়ির একতলা, দোকানপাট, গাড়ি। এই পরিস্থিতিতে দিল্লিবাসীর দুর্ভোগ বাড়িয়েছে বিদ্যুতের খুঁটি। দিল্লির আইটিও চত্বরে পথে নেমে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হতে হচ্ছে নাগরিকদের। জলমগ্ন ফুটপাথ দিয়ে চলারও উপায় নেই। অগত্যা দুই রাস্তার মাঝে সরু ডিভাইডারের উপর দিয়ে হাঁটতে বাধ্য হচ্ছেন তাঁরা।
আইটিও চত্বরে পথচারীদের দুর্ভোগের বেশ কিছু ছবি, ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে। তাতে দেখা গিয়েছে, রেলিং আঁকড়ে ডিভাইডার ধরে কোনও মতে হেঁটে চলেছেন মানুষজন। অভিযোগ পেয়ে ওই খুঁটিগুলি থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছেন কর্তৃপক্ষ।
গত মাসে দিল্লি স্টেশনে সন্তানদের সামনেই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যান ৩৪ বছরের এক মহিলা। রাজধানীর অন্য অংশে জলমগ্ন রাস্তায় হাঁটার সময় মৃত্যু হয়েছে ১৭ বছরের এক কিশোরের। বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে পড়েছিল রাস্তায়। তাতেই বিপত্তি। প্রসঙ্গত, যে দিন স্টেশনে ওই মহিলার মৃত্যু নিয়ে দিল্লি সরকার, রেল বোর্ড এবং পুলিশকে নোটিস পাঠিয়েছিল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন, সে দিনই মৃত্যু হয় সোহেল নামে ওই ছেলেটির। নোটিসে কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ‘গাফিলতি’র অভিযোগ এনেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন।
রাজধানীর রাস্তায় জল জমে থাকায় যানজট তৈরি হয়েছে দিল্লিতে। পেশায় আইনজীবী সিদ্ধার্থ শ্রীবাস্তব জানিয়েছেন, চার থেকে পাঁচ কিলোমিটার যেতে সময় লাগছে তিন ঘণ্টা। তাঁর কথায়, ‘‘সকাল সাড়ে ৮টায় গাজিয়াবাদ থেকে বেরিয়েছি। তিসহাজারি কোর্টে যাব। জিটি রোড দিয়ে দিল্লি ঢুকতে তিন ঘণ্টা লেগেছে। তা-ও যানজট সরছে না। অগত্যা ফিরে যাচ্ছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy