দর্শকহীন আলোচনাসভা। করিমগঞ্জের বইমেলায়। — নিজস্ব চিত্র
নাগরিকত্ব নিয়ে আলোচনাসভা চলছিল বইমেলায়। দর্শক আসন প্রায় ফাঁকা!
এমনই ছবি করিমগঞ্জ বইমেলায়। মেলার উদ্বোধন হয়েছে ২৯ নভেম্বর। চলবে ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত। কিন্তু ছ’দিন কেটে গেলেও ভিড়জমছে না সেখানে। বিক্রি কমেছে অনেকটাই।
কারণ হিসেবে নোট-সঙ্কটকেই দায়ী করছেন মেলায় সামিল প্রকাশনা সংস্থার প্রতিনিধি, অন্য ব্যবসায়ীরা। তাঁরা জানিয়েছেন, অন্যান্য বছর দিনেও স্কুল-কলেজের পড়ুয়ারা মেলায় আসে। এ বারও এসেছে কয়েক জন। ঘোরাফেরা করেছে। নিজস্বী নিয়েছে। বাড়ি ফিরে গিয়েছে। এক ব্য়বসায়ীর কথায়, ‘‘পড়ুয়াদের কাছে টাকা বেশি থাকে না। আমরাও বাবি না যে তারা বইপত্র কিনবে। কিন্তু সন্ধেয় অভিভাবকরা যখন আসছেন, তাঁরা শুধু বইয়ের পাতা উল্টে দেখেই চলে যাচ্ছেন মেলা প্রাঙ্গনের জলসায়।’’ একটি প্রকাশনা সংস্থার কর্মী বলেন, ‘‘কারও হাতেই নোট তেমন নেই। এ সবে তা আরও স্পষ্ট হচ্ছে।’’ তবে বইমেলার শেষপর্বে লোকসান মিটে যাবে বলে তাঁরা আশা করছেন।
বইমেলায় প্রতি দিন বিকেলে কবিতা পাঠের আসর, আলোচনাসভার আয়োজন করেছে রবিবারের সাহিত্য আড্ডা। ৩০ নভেম্বর আলোচনাসভার বক্তা ছিলেন সাহিত্যিক ও আইনজীবী বিনোদলাল চক্রবর্তী। বিষয় ছিল— অসমের বাঙালি ও বর্তমান সময়। অসমে এনআরসি প্রক্রিয়ার জেরে রাজ্যের বাঙালিরা নানা সমস্যায় জর্জরিত। সে কথা তুলে ধরেন বিনোদবাবু। কিন্তু দর্শক আসন ছিল ফাঁকা। গত কালের আলোচনাসভার ছবিটাও ছিল একই রকম। বাংলা সাহিত্যে দেশভাগের প্রভাব নিয়ে আলোচনা করেন প্রাক্তন শিক্ষাবিদ জন্মজিৎ রায়। এ সবে চিন্তিত বইমেলা কমিটির সভাপতি প্রাক্তন শিক্ষক মহীতোষ দাস।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy