অযোধ্যায় নরেন্দ্র মোদী। ছবি: পিটিআই।
রামমন্দিরের গর্ভগৃহে রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠার দিন দেশবাসীকে অযোধ্যায় না-যাওয়ার অনুরোধ জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তার পরিবর্তে ওই দিন দেশবাসীকে ‘অকাল দীপাবলী’ পালনের পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। বলেছেন, “ওই দিন (২২ জানুয়ারি) প্রতিটি ভারতবাসী বাড়িতে রামজ্যোতি (প্রদীপ) জ্বালাবেন।” যাঁরা অযোধ্যায় যেতে ইচ্ছুক, তাঁদের প্রতি মোদীর বার্তা, ২৩ জানুয়ারি থেকে সকলেই সেখানে যেতে পারবেন। এর আগে রামমন্দির নির্মাণে তত্ত্বাবধানের দায়িত্বে থাকা শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের অন্যতম শীর্ষকর্তা চম্পত রাইও গর্ভগৃহে ‘রামলালা বিরাজমান’-এর মূর্তি প্রতিষ্ঠার দিন ভক্তদের অযোধ্যায় যেতে নিষেধ করেছিলেন। মূলত নিরাপত্তার কারণেই রাই এ কথা বলেছেন বলে তখন জানা গিয়েছিল।
শনিবার অযোধ্যার নবনির্মিত রেলস্টেশন এবং বিমানবন্দরের উদ্বোধন করে জনসভা করেন প্রধানমন্ত্রী। সভায় ২২ জানুয়ারি দেশবাসীকে অযোধ্যায় না-যাওয়ার পরামর্শ দিয়ে মোদী বলেন, “ভক্ত হিসাবে ভগবান রামের অসুবিধা হয়, এমন কিছু কাজ করা আমাদের উচিত হবে না।” একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সংযোজন, “আপনারা সকলেই ২৩ জানুয়ারি থেকে (অযোধ্যায়) আসতে পারবেন। রামমন্দির এখন থেকে সকলের জন্য চিরতরে খোলা থাকবে।” তা ছাড়াও আগামী ১৪ জানুয়ারি অযোধ্যা-সহ দেশের সমস্ত ধর্মস্থান এবং তীর্থক্ষেত্রে ‘স্বচ্ছতা অভিযানে’ শামিল হওয়ার জন্য সকলকে অনুরোধ করেন তিনি।
২২ জানুয়ারি অযোধ্যার মন্দিরে প্রাণপ্রতিষ্ঠা সংক্রান্ত অনুষ্ঠানের দিকে গোটা বিশ্ব তাকিয়ে রয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর মুখে শোনা যায় ‘গ্যারান্টি’ শব্দটিও। এই শব্দটি টেনে এনে প্রধানমন্ত্রী জানান যে, তিনি অযোধ্যার উন্নয়ন নিয়ে যে সমস্ত প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, সেগুলির সবগুলিই প্রায় রক্ষা করতে পেরেছেন। অযোধ্যাকে ‘স্মার্ট সিটি’ হিসাবে তুলে ধরার কথাও জানান তিনি।
আগামী ২২ জানুয়ারি রামলালা অর্থাৎ রামচন্দ্রের শিশুবেলাকে কল্পনা করে তৈরি করা মূর্তির প্রাণপ্রতিষ্ঠা হবে। প্রাণপ্রতিষ্ঠা হওয়ার অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন মোদী। এ ছাড়াও দেশ-বিদেশের বিশিষ্ট মানুষদের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy