নীতীশ সরকার ভেঙে দিয়ে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করে বিহারে নির্বাচন চাইল বিজেপি-সহ এনডিএ শরিকরা। আজ রাজ্য সফররত মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের কাছে যেমন এই দাবি জানানো হল, তেমনই সংসদেও একই দাবিতে সরব হলেন বিহারের বিজেপি সাংসদরা। এর মধ্যে, হঠাত্ই রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠির কাছ থেকে এক ‘পত্রবোমা’ পেলেন মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। সেই চিঠিতে রাজ্যপাল রাজ্যের সমস্ত সরকারি কর্মীকে ‘প্রোমোশন’ দেওয়ার জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে নির্দেশ দিয়েছেন। এই জোড়া আক্রমণের ফলে কিছুটা হলেও চাপে নীতীশ সরকার। মুখ্যমন্ত্রী নিজে এ নিয়ে এখনও মুখ খোলেননি।
রাষ্ট্রপতি শাসনে বিহারে নির্বাচন চাইছে বিজেপি। গত কাল পটনার রাস্তায় দুষ্কৃতীদের হাতে এক বিজেপি নেতা খুন হওয়ায় সেই দাবি আরও জোরালো হয়েছে। আজ সংসদে এ নিয়ে দলের তরফে সরব হন সাংসদ কীর্তি আজাদ এবং ভোলা সিংহ। এ ছাড়া আরজেডি থেকে বহিস্কৃত সাংসদ পাপ্পু যাদবও রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি করেছেন। এ দিন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার নাসিম জাইদির সঙ্গে দেখা করে লোক জনশক্তি পার্টির তরফেও একই দাবি জানানো হয়েছে। এনডিএ-র অভিযোগ, রাজ্য স্বরাষ্ট্র সচিব আমির সুভানি প্রায় ছ’বছর ধরে একই পদে রয়েছেন। তাঁকে ওই পদ থেকে সরাতে হবে। নির্বাচনে তিনি পক্ষপাতিত্ব করতে পারেন বলেই বিজেপির অভিযোগ। এ ছাড়া কেন্দ্রীয় ভাবে রাষ্ট্রপতি শাসনও চাইছে বিজেপি। প্রোমোশন এবং বেতন বৃদ্ধি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করছেন সরাকরি কর্মীরা। বিষয়টিতে তাঁরা রাজ্যপালের হস্তক্ষেপও দাবি করেছেন। এর পরেই রাজ্যপালের তরফে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দেওয়া হয়। রাজনীতিকদের বক্তব্য, রাজ্যপালের চিঠিকে হাতিয়ার করে সরকারি কর্মীদের টানতে চাইছে বিজেপি। রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী নীতীশ কুমারকে লিখেছেন, ‘‘প্রোমোশন বন্ধের কারণে সরকারি কর্মীদের লোকসান হচ্ছে। সমস্ত মামলা শেষ করে কর্মী-অফিসারদের নিয়ম মেনে প্রোমোশন দেওয়া হোক।’’ এই চিঠি নিয়ে প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে আজ বৈঠক করেছেন মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। তবে বিষয়টি নিয়ে কেউ মুখ খুলতে রাজি হননি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy