শপথের পরে রাষ্ট্রপতিকে প্রণাম। মঙ্গলবার নতুন মন্ত্রীদের মধ্যে একমাত্র অহলুওয়ালিয়াকেই দেখা গেল এটা করতে। ছবি: পিটিআই।
হাতের কাছে শপথবাক্যের খসড়াটি পৌঁছতেই মুচকি হাসি ফুটল রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের মুখে। এর পরেই তাঁর সচিব নাম ঘোষণা করলেন। সুরেন্দ্র সিংহ অহলুওয়ালিয়া। রাষ্ট্রপতির মুখের হাসি বোধ হয় বঙ্গ-যোগের। কিংবা দীর্ঘদিনের সম্পর্কের। শপথবাক্য পাঠ করেই রাষ্ট্রপতির পা ছুঁয়ে প্রণাম করলেন অহলুওয়ালিয়া। বাকি ১৯ মন্ত্রীর মধ্যে আর কেউ যা করেননি। রাষ্ট্রপতির মুখে এমন হাসি ফের দেখা গেল আর এক বঙ্গসন্তান এম জে আকবরের শপথের সময়ও।
বাংলায় ক্ষমতার ধারেকাছে যেতে পারেনি বিজেপি। সাংসদ মাত্র দু’জন। সেই দু’জনেই এখন নরেন্দ্র মোদীর মন্ত্রিসভায়। আসানসোলের সাংসদ বাবুল সুপ্রিয় আগেই নগরোন্নয়ন মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী হয়েছিলেন। আজ হলেন দার্জিলিঙের সাংসদ অহলুওয়ালিয়াও। বিজেপির এক নেতা রসিকতা করে বললেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গে তো একেবারে একশোতে একশো। একশো শতাংশ সাংসদই এখন মন্ত্রী।’’ আকবরের জন্মভূমি কলকাতা হলেও তিনি এখন প্রতিবেশী ঝাড়খণ্ড থেকে রাজ্যসভার সাংসদ। ছিলেন কংগ্রেসের সাংসদ। এখন মোদী জমানায় বিদেশ প্রতিমন্ত্রী। যে দুই বঙ্গসন্তান এ দিন মন্ত্রী হলেন, তাঁরা দু’জনেই সংখ্যালঘু।
অহলুওয়ালিয়া কাল জন্মদিনেই দলের সভাপতি অমিত শাহের কাছ থেকে সুখবরটি পেয়েছিলেন। তাঁর নাম ভেসে আসতেই দিল্লির অলিন্দে আলোচনা শুরু হয়, অরুণ জেটলির বিরোধী ও সুষমা স্বরাজের ঘনিষ্ঠ হওয়ার জন্যই গত বার তাঁকে মন্ত্রী করা হয়নি। এ বারে তাঁকে মন্ত্রিসভায় নেওয়ার কারণ কী? তা হলে কি পঞ্জাব নির্বাচনের আগে এক জন শিখকে মন্ত্রী করে বার্তা দিতে চাইছেন প্রধানমন্ত্রী?
তাঁকে কেন আগে মন্ত্রী করা হল না, এই প্রশ্নে অহলুওয়ালিয়া অবশ্য বলেছেন, ‘‘এর আগে আমার ছোট ভাই ও বন্ধু বাবুল মন্ত্রী হয়েছেন পশ্চিমবঙ্গ থেকে। কিন্তু তখন থেকেই প্রধানমন্ত্রী আমাকে অন্য ভাবে তাঁর টিমের অংশ করে নিয়েছিলেন। বিভিন্ন কমিটির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল আমাকে। জমি বিলের দায়িত্বও দিয়েছিলেন।’’ এ বারে কৃষি ও সংসদ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী হিসেবে তাঁর লক্ষ্য কী? সদ্য বিধানসভা নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করেই ভোট লড়েছে বিজেপি। মন্ত্রী হিসেবে রাজ্য সরকারের সঙ্গে কেমন হবে তাঁর সম্পর্ক? অহলুওয়ালিয়া বলেন, ‘‘মমতা যেমন গরিবদের জন্য কাজ করতে চাইছেন, নরেন্দ্র মোদীও তাই চাইছেন। মমতা জয়ী হওয়ার পর খোদ প্রধানমন্ত্রী ফোন করে বলেছিলেন, রাজ্য সরকারের প্রতি তাঁর পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। আমারও সেই একই মত। রাজ্যের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করাই আমার লক্ষ্য।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy