কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ফাইল ছবি।
গেরুয়া শিবিরের পক্ষ থেকে ধারাবাহিক ভাবে হিংসা ও ঘৃণার বার্তা দেওয়া সত্ত্বেও শাসকের নীরবতা সংখ্যালঘুদের মধ্যে হতাশা ও ক্ষোভের সৃষ্টি করে বলে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কাছে অভিযোগ জানালেন মুসলিম সমাজের বিশিষ্ট জনেরা। রামনবমী উপলক্ষে দেশ জুড়ে হওয়া অশান্তির প্রেক্ষিতে গত কাল রাতে মুসলিম সমাজের কিছু বিশিষ্ট ব্যক্তির সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন অমিত শাহ। সেখানেই ওই অভিযোগ করেন বিশিষ্ট জনেরা। যদিও একই সঙ্গে তাঁরা জানান, যে ভাবে অমিত শাহ তাঁদের বক্তব্য গুরুত্ব দিয়ে শুনেছেন, তাতে তাঁরা খুশি। জমিয়ত উলেমা-ই হিন্দের সচিব নিয়াজ় ফারুকির বক্তব্য, রাজনীতিক অমিত শাহের পরিবর্তে এ যেন এক অন্য অমিত শাহের সঙ্গে তাঁদের গত কাল পরিচয় হয়।
বৈঠকে মুসলিম প্রতিনিধি দলটি শাহের কাছে ১৪ দফা সমস্যার কথা তুলে ধরেন। যার মধ্যে সম্প্রতি রামনবমী উপলক্ষে বিহার, পশ্চিমবঙ্গ, মহারাষ্ট্রে হওয়া অশান্তির বিষয়টি নিয়েও সরব হন তাঁরা। সূত্রের মতে, শাহ তাঁদের আশ্বাস দিয়ে জানান, ধর্ম ও দলের রং না দেখে অপরাধীদের গ্রেফতার করা হবে। বৈঠকে ফারুকি ছাড়াও জমিয়ত উলেমার সভাপতি মৌলানা মামুদ মাদানি এবং অল ইন্ডিয়া পার্সোনাল ল’বোর্ডের সদস্য কামাল ফারুকি উপস্থিত ছিলেন।
নরেন্দ্র মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই গেরুয়া শিবিরের নেতাদের একাংশের বিরুদ্ধে অন্য সম্প্রদায়ের উদ্দেশ্যে ঘৃণাভাষণের অভিযোগ উঠেছে। সূত্রের মতে, গত কাল বিশিষ্টেরা ওই অভিযোগ জানালে শাহ তাঁদের আশ্বাস দিয়ে জানান, দলে সব ধরনের লোক থাকে। তাই একই ‘প্রিজ়মে’ সকলকে বিচার করা উচিত নয়। উল্লেখ্য, আজ পদ্মশ্রী পুরস্কার গ্রহণের পরে কর্নাটকের বিদরি শিল্পী শাহ রাশিদ আহমেদ কাদরি মোদীকে বলেন, ‘‘ভেবেছিলাম বিজেপি সরকার এক মুসলিমকে এই পুরস্কার দেবে না। আপনি আমায় ভুল প্রমাণ করলেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy