মোদীর দাবি ১৯৪৭-এ জন্ম হয়নি ভারতের
পঞ্জাবের বিধানসভা ভোটের আগে সুকৌশলে দেশ বিভাজনের স্মৃতি উস্কে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শুক্রবার শিখ ধর্মগুরু এবং শিখ সমাজের বিশিষ্টজনেদের সঙ্গে বৈঠকে তিনি কর্তারপুর সাহিব পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত হওয়ার দায় চাপালেন কংগ্রেসের ঘাড়ে। মোদীর অভিযোগ, ‘‘১৯৪৭ সালে দেশ বিভাজনের সময় কংগ্রেসের অপদার্থতার কারণে শিখদের পবিত্র তীর্থস্থান কর্তারপুর সাহিব পাকিস্তানের ভাগে পড়েছিল। অথচ, বর্তমান পঞ্জাব সীমান্ত থেকে সেখানকার দূরত্ব মাত্র ৬ কিলোমিটার।’’
স্বাধীনতার পরে কংগ্রেস শাসনের ‘অত্যাচারের’ অভিযোগও তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘সত্যিই ১৯৪৭ সালে ভারতের জন্ম হয়নি। আমাদের গুরুরা এত কিছুর মধ্যে দিয়ে গিয়েছেন। জরুরি অবস্থার সময় অত্যাচার সহ্য করতে হয়েছে যে আমরা আত্মগোপন করেছিলাম! পরিচয় লুকোতে শিখ ছদ্মবেশ ধারণ করতে হয়েছিল।’’
মোদীর দাবি, শিখ পুণ্যার্থীদের কর্তারপুর সাহিবে যাওয়ার সুযোগ করে দিতে তিনিই পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছিলেন। পঞ্জাব ভোটের আগে মোদী প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন আফগানিস্তান থেকে শিখদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ ‘গ্রন্থসাহিব’ ফেরত আনবেন তিনি। বলেছেন, ‘‘পবিত্র গ্রন্থসাহিব ফেরত আনার জন্য বিশেষ বিমানের ব্যবস্থা করা হবে।’’ সপ্তদশ শতকে দশম শিখ ধর্মগুরু গোবিন্দ সিংহের কাছে প্রথম দীক্ষা নেওয়া পাঁচ শিষ্যের এক জন ছিলেন গুজরাতের। মোদীর দাবি, ওই শিষ্যের সঙ্গে তাঁর রক্তের সম্পর্ক রয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy