রাহুল গাঁধী। ফাইল চিত্র।
উন্নাও গণধর্ষণ এবং খুন কাণ্ডে সিবিআইয়ের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এক সাক্ষীর রহস্যজনক মৃত্যু এবং তড়িঘড়ি তাঁর দেহ কবর দেওয়া নিয়ে নতুন করে জলঘোলা শুরু হয়েছে। বিষয়টিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে বিদেশ থেকেই টুইট করেছেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধী।
উত্তরপ্রদেশের উন্নাওয়ের বিজেপি বিধায়ক কুলদীপ সিংহ সেঙ্গার ও তাঁর এক ভাইয়ের বিরুদ্ধে গণধর্ষণের অভিযোগ এনেছিল বছর সতেরোর এক কিশোরী। পুলিশি হেফাজতে রহস্যজনক ভাবে মারা যান ওই কিশোরীর বাবা। অভিযোগকারিণীর কাকার অভিযোগ ছিল, লকআপে অত্যাচার করে মেরে ফেলা হয়েছে তাঁর দাদাকে। বিষয়টি নিয়ে সংবাদমাধ্যমে হইচই শুরু হওয়ায় যোগী সরকার মামলাটির তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেয়। অভিযুক্ত বিধায়ক এখন জেলে।
এরই মধ্যে ইউনুস নামে এক সাক্ষীর মৃত্যুতে রহস্য দানা বেঁধেছে। অভিযোগকারিণীর গ্রামেই মুদির দোকান ছিল ইউনুসের। কিশোরীর বাবাকে কুলদীপের ভাই অতুল সেঙ্গার ও তাঁর লোকজন বেধড়ক মারধর করেছিলেন। সেই ঘটনার সাক্ষী ছিলেন ইউনুস। নির্যাতিতা কিশোরীটির কাকার দাবি, কুলদীপের ভাই অতুলের লোকজনই ইউনুসকে বিষ দিয়ে মেরে ফেলেছে। গত শনিবার হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে পড়েন ইউনুস। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগেই মৃত্যু হয় তাঁর। অভিযোগ, ময়না-তদন্ত না করেই তাঁর দেহ কবর দিয়ে দেওয়া হয়। উন্নাওয়ের পুলিশ সুপারের কাছে ইউনুসের দেহ কবর থেকে তুলে ময়না-তদন্তের দাবি জানিয়েছেন কিশোরীর কাকা। যদিও স্থানীয় থানার দাবি, শারীরিক অসুস্থতার কারণেই মৃত্যু হয়েছে ইউনুসের।
বিষয়টিতে লেগেছে রাজনৈতিক রং। কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধী আজ টুইট করে বলেছেন, ‘‘উন্নাও গণধর্ষণ আর খুনের ঘটনা যাতে বিজেপির বিধায়ক কুলদীপ সেঙ্গার জড়িত, তার অন্যতম সাক্ষীর মৃত্যুতে ষড়যন্ত্রের গন্ধ রয়েছে।’’ প্রধানমন্ত্রী মোদীকে এক হাত নিয়ে রাহুলের খোঁচা, ‘‘এটাই কি দেশের মেয়েদের জন্য সঠিক বিচার মিস্টার ৫৬?’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy