ফাইল চিত্র।
তিন সেনার সংযুক্তিকরণের পথে দ্রুত হাঁটছে দেশ। দিল্লিতে আজ ‘আর্মি লজিস্টিক’ সংক্রান্ত আলোচনাচক্রে ওই দাবি করেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। বলেন, ‘‘তিন বাহিনীর মধ্যে পণ্য ও গোলাবারুদের সরবরাহ যাতে অনায়াসে করা যায়, সে দিকে নজর রাখতে অভিন্ন লজিস্টিক নীতির কথা ভাবা হয়েছে।’’
কার্গিল যুদ্ধের পরেই দেশের তিন সেনাকে একটি কম্যান্ডের অধীনে আনার সুপারিশ করা হয়েছিল কার্গিল কমিটির রিপোর্টে। যার উপরে ভিত্তি করে চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ পদটি তৈরি হয়। পরবর্তী ধাপে সেনার তিন বাহিনীকে সংযুক্তিকরণের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছেন রাজনাথ। প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘‘সেনার তিন শাখাকে সংযুক্তিকরণের পথে দ্রুত হাঁটছে ভারত। সরকারের লক্ষ্য, একটি অভিন্ন লজিস্টিক নীতি তৈরি করা। যার মাধ্যমে এক বাহিনীর জন্য প্রয়োজনীয় পণ্য-গোলাবারুদ দরকারে অন্য বাহিনীর কাছে দ্রুত পাঠানো সম্ভব হয়।’’
ওই কাজে সরকারি ও বেসরকারি অংশীদারদের মধ্যে সুষ্ঠু সমন্বয় গড়ে তোলার উপরে জোর দিয়েছেন সেনাপ্রধান জেনারেল মনোজ পাণ্ডে। প্রায় ছ’মাস ধরে চলা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, ‘‘যুদ্ধের গতি, তীব্রতা ও সেনা হামলা নির্ভর করে কোনও দেশে ধারাবাহিক ভাবে যুদ্ধের প্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহের ক্ষমতা, সময়ে পৌঁছানোর উপরে।’’ সেনাপ্রধানের কথায়, ‘‘যুদ্ধ কেবল সেনাই লড়ে না, গোটা দেশকে এ জন্য এগিয়ে আসতে হয়।’’ তাই সেনা পরিকাঠামো গড়ে তোলা ও সেনার নির্দিষ্ট চাহিদা পূরণের জন্য সেনা ও বেসরকারি সংস্থার মধ্যে একাত্মকরণ ঘটাতে ভারতীয় শিল্প সংস্থাকে এগিয়ে আসার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন পাণ্ডে। যাতে ভবিষ্যতে যুদ্ধের পরিস্থিতিতে সুষ্ঠু লজিস্টিক নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সেনার চাহিদা দেশীয় ভাবেই মেটানো সম্ভব হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy