পথে: খাবার নিতে ফ্রিজের সামনে ভিড়। —নিজস্ব চিত্র।
এ বার পুজোয় নামি রেস্তোরাঁর বিরিয়ানি, চিকেন-মটন, পিৎজা, মোগলাইয়ের স্বাদ পাবেন ফুটপাতের ভবঘুরেরাও! চাইলেই হাতে পাবেন পাউরুটি, কেক, বিস্কুট, চানাচুর, ঠাণ্ডা জলের বোতল।
সাধ থাকলেও সাধ্য না থাকার গল্প ঘুচবে তাঁদের। সৌজন্যে, ঝাড়খণ্ডের এক পুলিশকর্তা।
রাঁচীর স্টেশন রোডে সারি সারি হোটেল, রেস্তোরাঁ রয়েছে। সেখানেই কয়েক দিন আগে বসানো হয়েছে বড় রেফ্রিজারেটর। তাতেই রাখা থাকবে প্যাকেট করা খাদ্যসামগ্রী। অভাবী মানুষ যখন খুশি ফ্রিজ খুলে নিতে পারবেন পছন্দের খাবার।
আরও পড়ুন:বোরখা পরে দিল্লির রাস্তায় কি হানিপ্রীত
এর পিছনে ঝাড়খণ্ড পুলিশের এডিজি রেজি ডুংডুং। তাঁর কথায়, ‘‘বিদেশের রেস্তোঁরায় দেখেছিলাম কেউ খাবার নষ্ট করলে জরিমানা হচ্ছে। মনে হয়, আমাদের দেশে এ ভাবে কত খাবার নষ্ট হয়। তা যদি গরিব মানুষ খেতে পান তা হলে কেমন হয়?’’ এ নিয়ে ঝাড়খণ্ডের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সঙ্গে কথা বলেন রেজি। সংস্থার অন্যতম কর্তা অতুল গেরা বলেন, ‘‘উনি রাস্তায় ফ্রিজ বসানোর কথা বলেছিলেন। কিন্তু শহরে কোথায় তা বসালে খাবার কখনও শেষ হবে না, তা বুঝতে পারছিলাম না।’’
খবর পেয়ে এগিয়ে আসেন রাঁচীর স্টেশন রোডের হোটেল, রেস্তোরাঁর মালিকরা। একটি হোটেলের সামনে বসানো হয় ফ্রিজ। সেটির অন্যতম কর্ণধার রনজিৎ সিংহ বলেন, ‘‘ফ্রিজে যেন খাবার কম না পড়ে, সে দিকে নজর রাখা হচ্ছে। কোনও হোটেল সকালে খাবার রাখছে। কেউ রাখছে দুপুর বা রাতে।’’ রেফ্রিজারেটর চলছে ২৪ ঘন্টা। বিদ্যুতের বিল মেটাচ্ছে রেস্তোরাঁগুলিই। পুজোর পাঁচ দিন ফ্রিজে স্পেশাল মেনু রাখা হবে বলে জানান রণজিৎবাবু। তিনি বলেন, ‘‘পুজোয় খাবার বেশি তৈরি হয়। অনেক সময় তা অতিরিক্ত হয়ে যায়। সে সব ফ্রিজে ঢুকিয়ে দেওয়া হবে।’’
দুপুরের রোদে রিকশ চালিয়ে ক্লান্ত এক চালক নামলেন ফ্রিজের সামনে। দরজা খুলে তুলে নিলেন ভাত, পনীরের তরকারির প্যাকেট। কিছু ক্ষণ পরই ফ্রিজে উঁকি দিতে এলেন স্টেশন সংলগ্ন ঝুপড়ির দুই বাসিন্দা। পুলিশকর্তা রেজি বলেন, ‘‘খুব ভাল সাড়া মিলছে। এ রকম একটি ফ্রিজ কাঁকে রোডে খোলা হতে পারে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy