সূত্রের খবর, সোমবার তারই মহড়ায় ঠাট্টা করে সুখেন্দুশেখর তাঁদের বলেন, সংসদে চিৎকার করার জন্য গলা বসে গিয়েছে। অনুষ্ঠান যেন না মাটি হয়! জবাবে সহাস্য রূপা বলেছেন, তেমন কিছুই হবে না, তাঁরা একসঙ্গেই গাইবেন!
রূপা গঙ্গোপাধ্যায় এবং দোলা সেন। ফাইল চিত্র।
গত সপ্তাহেই যুযুধান ছিলেন রাজ্যসভায় বিজেপির সাংসদ রূপা গঙ্গোপাধ্যায় এবং তৃণমূল কংগ্রেসের দোলা সেন। রামপুরহাটের ঘটনার পরে রূপা পশ্চিমবঙ্গে ৩৫৬ ধারা জারির দাবি তুলেছিলেন রাজ্যসভায়। রূপাকে কেন বলতে দেওয়া হল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন দোলা। গত কাল রূপা-সহ তিন বিজেপি সাংসদ দোলার বিরুদ্ধে বিশেষ অধিকার ভঙ্গের নোটিসও দেন। কিন্তু একই দিনে রূপা-দোলা প্রায় তিন ঘণ্টা গানের মহড়াও দিয়েছেন সংসদের অ্যানেক্সিতে!
এমন অভিনব ঘটনা ঘটেছে রাজ্যসভার বিদায়ী সাংসদদের জন্য অনুষ্ঠিতব্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানটির কারণে। আগামী বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নায়ডুর বাসভবনে বিদায়ীদের সম্মানে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন সাংসদেরা। তার সঞ্চালনায় থাকবেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়। সেখানে গান গাইবেন দোলা এবং রূপা। সূত্রের খবর, সোমবার তারই মহড়ায় ঠাট্টা করে সুখেন্দুশেখর তাঁদের বলেন, সংসদে চিৎকার করার জন্য গলা
বসে গিয়েছে। অনুষ্ঠান যেন না মাটি হয়! জবাবে সহাস্য রূপা বলেছেন, তেমন কিছুই হবে না, তাঁরা একসঙ্গেই গাইবেন! গানের অনুষ্ঠানগুলি অবশ্য সবই একক। দোলা গাইবেন রবীন্দ্রনাথের ‘বিধির বাঁধন কাটবে তুমি..।’
সুগায়িকা রূপা এখনও নির্দিষ্ট করেননি কী গাইবেন। তামিল গান গাইবেন ডিএমকে-র তিরুচি শিবা। তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেন গিটার বাজাবেন। রাজনীতি এবং চিকিৎসকের পেশার পাশাপাশি শান্তনুবাবু এক জন দক্ষ গিটারবাদকও বটে। এনসিপি সাংসদ বন্দনা চহ্বাণ গাইবেন, ‘রুক জানা নেহি তু কঁহি হারকে..।’ অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে সবাই এক সঙ্গে গাইবেন, ‘কভি অলবিদা না কহনা’। বিদায়ী সাংসদদের হাতে তুলে দেওয়া হবে অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আঁকা ভারত মাতার বাঁধানো প্রিন্ট। এই ছবিটি অবনীন্দ্রনাথ এঁকেছিলেন ১৯০৫ সালে স্বদেশি আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে। কাঁসার তৈরি একটি করে অশোক স্তম্ভও দেওয়া হবে তাঁদের। গোটা অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার কথা প্রধানমন্ত্রীর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy