Advertisement
৩০ এপ্রিল ২০২৪
Ram Mandir Inauguration

‘রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠার মধ্যে দিয়ে পুনর্নির্মাণ হবে ভারতবর্ষের’! অযোধ্যাকাণ্ড নিয়ে বললেন সঙ্ঘপ্রধান

রামলালার বিগ্রহের ‘প্রাণপ্রতিষ্ঠা’-র আগে সঙ্ঘপ্রধান ভাগবত জানান, যে বিতর্ক, যে দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছিল, তা এখন শেষ হওয়া উচিত। সেই নিয়ে যে তিক্ততা তৈরি হয়েছিল, তা-ও শেষ হওয়া উচিত।

image of mohan Bhagwat

সঙ্ঘপ্রধান মোহন ভাগবত। — ফাইল চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ২১ জানুয়ারি ২০২৪ ২১:১৯
Share: Save:

অযোধ্যার মন্দিরে রামলালার বিগ্রহের ‘প্রাণপ্রতিষ্ঠা’র মাধ্যমেই ভারতবর্ষের ‘পুনর্নির্মাণ’ অভিযানের সূচনা। রবিবার অযোধ্যায় পৌঁছেই এই কথা জানালেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘ (আরএসএস) প্রধান মোহন ভাগবত। আরএসএসের ওয়েবসাইটে তিনি জানিয়েছেন, ‘দ্বন্দ্ব এবং তিক্ততা’-র অবসান হওয়া উচিত।

২০১৯ সালে সুপ্রিম কোর্ট রায় দিয়ে অযোধ্যার ওই জমিতে রামমন্দির নির্মাণের অনুমতি দিয়েছে। সেই মন্দিরে সোমবার রামলালার বিগ্রহের ‘প্রাণপ্রতিষ্ঠা’। উপস্থিত থাকছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে রবিবার অযোধ্যায় পৌঁছেছেন ভাগবত। তার আগে সমাজমাধ্যমে পোস্ট দিয়ে তিনি জানালেন, গোটা সমাজের কাছে রাম হল আদর্শ। তিনি লিখেছেন, ‘‘যে বিতর্ক, যে দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছিল, তা এখন শেষ হওয়া উচিত। সেই নিয়ে যে তিক্ততা তৈরি হয়েছিল, তা-ও শেষ হওয়া উচিত। সমাজের আলোকপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের এ বার দেখা উচিত, যাতে ওই বিতর্ক নির্মূল হয়।’’

সঙ্ঘপ্রধান এও জানিয়েছেন, অযোধ্যায় রামমন্দিরের নির্মাণ ‘জাতীয় গর্বের জাগরণ’। তিনি আরও লিখেছেন, ‘‘রাম জন্মভূমিতে রামলালার প্রবেশ এবং তার প্রাণপ্রতিষ্ঠা আদতে ভারতবর্ষের পুনর্নির্মাণ অভিযানের সূচনা, বৈরিতা ছাড়া সকলকে গ্রহণ, সম্প্রীতি, ঐক্য, উন্নয়ন, শান্তির পথ দেখানোর সূচনা।’’ এ প্রসঙ্গে তিনি অতীতে ইসলামের নামে পশ্চিমের সাম্রাজ্যের আক্রমণের কথাও তুলে ধরেছেন। তিনি লিখেছেন, ‘‘বিদেশি আক্রমণকারীরা ভারতে মন্দির ধ্বংস করেছে। এক বার নয়, বার বার। ওদের উদ্দেশ্য ছিল ভারতীয় সমাজকে মনোবলহীন করে তোলা, যাতে ওরা দীর্ঘ সময় বাধাহীন ভাবে ভারতে রাজত্ব করতে পারে।’’

ভাগবত এও জানিয়েছেন, অযোধ্যায় একই কারণে অতীতে রাম মন্দির ‘ধ্বংস’ করা হয়েছিল। তবে ভারতের ক্ষেত্রে বিদেশি আক্রমণকারীদের কৌশল খাটেনি। কারণ, তাঁর মতে, ভারতীয় সমাজে বিশ্বাস, নীতি, অঙ্গীকার কখনওই নত হয়নি। প্রতিহত করার লড়াই এখানে ক্রমাগত চলেছে। তিনি লিখেছেন, ‘‘এই কারণেই বার বার জন্মভূমি (রাম)-র দখল নিয়ে সেখানে মন্দির নির্মাণের চেষ্টা হয়েছে। তার জন্য অনেক যুদ্ধ, লড়াই, আত্মত্যাগও হয়েছে। রাম জন্মভূমি ইস্যু ভারতবাসীর মর্মে প্রবেশ করেছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE