এবার সুপ্রিম কোর্টে কংগ্রেস নেতা সজ্জন কুমার। ফাইল চিত্র।
১৭ ডিসেম্বর শিখ দাঙ্গায় জড়িত থাকার শাস্তিস্বরূপ যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় শুনিয়েছিল দিল্লি হাইকোর্ট। এর পরই পারিবারিক কারণ দেখিয়ে আত্মসমর্পণে দেরি হবে বলে হাইকোর্টের কাছে সময় চেয়েছিলেন সজ্জন। শুক্রবার তাঁর সেই আর্জিও খারিজ করে দেয় দিল্লি হাইকোর্ট। এবার শাস্তির বিরুদ্ধে মামলা করতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেন সজ্জন কুমার। শনিবার এই কথা জানালেন আইনজীবী এইচ এস ফুলকা। দীর্ঘ দিন ধরেই এই মামলায় শিখ সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্ব করছেন তিনি।
১৯৮৪ সালে দেহরক্ষীদের গুলিতে ইন্দিরা গাঁধী নিহত হওয়ার পরই সারা দেশে শুরু হয়েছিল শিখবিরোধী দাঙ্গা। দক্ষিণ দিল্লির রাজ নগর এলাকায় একই পরিবারের পাঁচ জন শিখকে হত্যা এবং একটি গুরুদ্বার জ্বালিয়ে দেওয়ার ঘটনায় নেতৃত্ব দিয়েছিলেন এলাকার প্রভাবশালী কংগ্রেস নেতা সজ্জন কুমার। এছাড়া দিল্লির সুলতানপুরিতেও এক ব্যক্তিতে খুনের ঘটনায় জড়িত ছিলেন তিনি। ৮৪ সালের সেই শিখবিরোধী দাঙ্গায় অংশ নেওয়ার জন্য সজ্জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা শোনায় দিল্লি হাইকোর্ট। শাস্তির সাজা ঘোষণার পর তিন ছেলে-মেয়ে এবং আট নাতি-নাতনির মধ্যে বিষয় সম্পত্তি ভাগ করে দিতে সময় লাগবে বলে আত্মসমর্পণ করতে দিল্লি হাইকোর্টের কাছে তিরিশ দিন সময় চেয়েছিলেন ৭৩ বছরের সজ্জন। শুক্রবারই সেই আর্জি খারিজ করে দেয় আদালত।
এর পরই শনিবার সুপ্রিম কোর্টের শাস্তির রায়ের বিরুদ্ধে আবেদন জানালেন সজ্জন। সংবাদ মাধ্যমকে এই কথা জানিয়েছেন শিখ সম্প্রদায়ের হয়ে দীর্ঘদিন লড়াই করতে থাকা আইনজীবী এইচ এস ফুলকা। তাঁকে সুপ্রিম কোর্টই জানায়, যে দিল্লি হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালতে আবেদন করেছেন সজ্জন কুমার।
আরও পড়ুন: জিএসটি-র হারে বদল, কমল ৩৩টি নিত্যপণ্য জিনিসের দাম
আরও পড়ুন: জল্পনার শেষ, আগামী লোকসভা নির্বাচনে লড়ার কথা জানালেন অভিনেতা কমল হাসন
(দেশজোড়া ঘটনার বাছাই করা সেরা বাংলা খবর পেতে পড়ুন আমাদের দেশ বিভাগ।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy