অসমের সত্র ও জাতীয় উদ্যানগুলির বেদখল হওয়া জমি পুনরুদ্ধারে পুলিশ ও প্রশাসনকে সক্রিয় ভূমিকা নেওয়ার নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল। আজ রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা ব্যবস্থা নিয়ে খানাপাড়া প্রশাসনিক স্কুলে সব জেলার জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারদের নিয়ে একটি বৈঠক করেন তিনি। কাজিরাঙার দখলদারদের সফল উচ্ছেদের জন্য সংশ্লিষ্ট পুলিশ সুপার ও জেলাশাসকের প্রশংসা করে সোনোয়াল বলেন, ‘‘রাজ্যবাসী সরকারের এই সিদ্ধান্ত ও পদক্ষেপকে সর্বতোভাবে সমর্থন করেছে। তাই অন্য জেলায় সত্র ও অরণ্যের বেদখল হওয়া জমিও এবার উদ্ধার করতে হবে।’’ পাশাপাশি, নাগরিক পঞ্জি নবীকরণের ক্ষেত্রে সতর্কতা ও নির্ভুল দ্রুততায় কাজ শেষ করতে বলেন তিনি। তাঁর মতে নির্ভুল, বিদেশিমুক্ত নাগরিক পঞ্জি শুধু রাজ্য নয়, দেশের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ।
উন্মুক্ত সীমান্ত সমস্যা, অনুপ্রবেশ ও চোরাচালান নিয়ে চিন্তিত সোনোয়াল বলেন, ‘‘সীমান্ত সুরক্ষিত না থাকলে তা গোটা দেশের পক্ষেই চিন্তার বিষয়। সীমান্তে নজরদারি বাড়াতে হবে। সেই সঙ্গে সীমান্ত পুরো সিল করা ও বেড়া বসানোর দায়িত্ব সেনাবাহিনীকে দেওয়ার জন্য আমি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে অনুরোধ জানিয়েছি।’’ জেলাশাসক ও এসপিদের নিয়ম করে প্রত্যন্ত এলাকায় গিয়ে মানুষের অভাব-অভিযোগ জানতে বলেন সোনোয়াল। বলেন, ‘‘সব সরকারি দফতরে মানুষের অভিযোগের প্রতিকার নিশ্চিত করতে হবে। সরকারি দফতরে গরিবরা গুরুত্ব পান না বলে অভিযোগ আছে। সব দফতরে দরিদ্রতমকেও সম মর্যাদা দিয়ে তাঁর সমস্যার সমাধান করতে হবে।’’
রাজ্যের সিংহভাগ জেলায় ধানপোকার আক্রমণ প্রসঙ্গে উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রী ভবিষ্যতে সব জেলাশাসককে আগাম সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন। মানুষের মনে পুলিশের ভাবমূর্তি উন্নত করতে সর্বানন্দের পরামর্শ, ‘‘পুলিশের পোশাক দেখে যেন অপরাধীরা ভয় পায়, আম আদমি ভরসা পায়। পুলিশকর্মীদের ব্যবহার, কর্তব্যনিষ্ঠা, সাহস দেখে যুব প্রজন্ম যেন পুলিশ হওয়ার অনুপ্রেরণা পায়।’’ সরকারি দফতর ও কর্তাদের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতি ও গাফিলতির অভিযোগ প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘জেলাশাসকদের নিজের নিজের জেলার দফতরগুলিতে স্বচ্ছতা ও কর্মসংস্কৃতি ফেরাতে হবে। কাজ ফেলে রাখা চলবে না। দুর্নীতির অভিযোগ এলেই ব্যবস্থা নিতে হবে।’’ এই বৈঠকে হাজির ছিলেন বনমন্ত্রী প্রমীলারানি ব্রহ্ম, তথ্য-প্রযুক্তিমন্ত্রী কেশব মহন্ত, সেচমন্ত্রী রঞ্জিৎ দত্ত, পরিবহণ মন্ত্রী চন্দ্রমোহন পাটোয়ারি ও বিভিন্ন দফতরের সচিবরা।
মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান, ‘‘রাজ্য সরকার চা বাগান কর্মীদের পুজো বোনাস দিচ্ছে।’’ বাগানকর্মীদের ২০ শতাংশ বোনাস দেওয়ার জন্য তিনি শিল্প-বাণিজ্য দফতরকে নির্দেশ দেন। অসম টি কর্পোরেশন লিমিটেডের অধীনে থাকা ১৫টি চা বাগানের ১৬ হাজারেরও বেশি কর্মী এই বোনাস পাবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy