—ফাইল চিত্র।
সমকামিতা, পরকীয়া, শবরীমালা। সর্বোচ্চ আদালতের সাম্প্রতিক তিনটি যুগান্তকারী রায় নিয়েই ভিন্নমত কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি।
দিল্লিতে এক আলোচনাচক্রে আজ জেটলি বলেন, ‘‘ঐতিহাসিক রায় লিখতে গিয়ে আপনি যখন প্রভাবিত হয়ে নিজেই ইতিহাসের অংশ হয়ে যেতে চান, তখনই হয় সমস্যা।’’
সমকামিতাকে অপরাধের তালিকা থেকে বাদ দেওয়াকে সমর্থন করলেও জেটলি জানান, যৌনাচারকে বাগ্স্বাধীনতার অঙ্গ বলাকে তিনি সমর্থন করছেন না। তাঁর কথায়, ‘‘বাগ্স্বাধীনতা সম্পূর্ণ আলাদা বিষয়। সার্বভৌমত্ব, নিরাপত্তা— এ সব ক্ষেত্রে অনেক সময়ে বাগ্স্বাধীনতায় রাশ টানা যায়। আপনি একে (যৌনতা) ‘মৌলিক অধিকার’ ও ‘বাগ্স্বাধীনতা’ বললে স্কুলের ছাত্রাবাস, কারাগার বা সেনাবাহিনীর মতো জায়গায় যৌনাচারে রাশ টানবেন কী করে?’’
পরকীয়া রায় নিয়েও জেটলি মনে করেন, ওই আইনের ‘খুব খারাপ ভাবে লেখা’ কিছু অংশ বাদ দেওয়া নিয়ে বিতর্ক নেই। কিন্তু বিচারপতিদের একাংশ পরকীয়াকে বৈবাহিক এবং ব্যক্তিগত অন্যায় বলেছেন। ফৌজদারি অপরাধ বলতে চাননি। জেটলির কথায়, ‘‘তা হলে দ্বিচারিতা বা বহুগামিতার ক্ষেত্রেও কি একই কথা বলা হবে? গার্হস্থ্য হিংসা বা পণের জুলুমের ক্ষেত্রে? তা হলে এ তো পুরোপুরি নারী-বিরোধী রায়।’’
শবরীমালা রায় প্রসঙ্গে জেটলির মত, একটি বিশেষ ঘটনাকে বেছে নিয়ে পদক্ষেপ করা উচিত নয়। কারণ সমাজে এর নানা প্রভাব পড়তে পারে। অন্যান্য ধর্মে যেখানে উপাসনাগৃহে নারীদের প্রবেশাধিকার নেই, সেখানে শবরীমালার সূত্র প্রযোজ্য হবে কি না, সেই প্রশ্নও তুলেছেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy