আগুন দিল্লি-দেহরাদূন শতাব্দী এক্সপ্রেসের একটি কামরায়। কামরাটির ৩৫ জন যাত্রীকে দ্রুত সরিয়ে নেওয়ায় বিপর্যয় ঘটেনি। ছবি: পিটিআই
স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় আগুন ধরে যায় দিল্লি-দেহরাদূন শতাব্দী এক্সপ্রেসে। তবে রেল সূত্রে জানানো হয়েছে যে, শনিবার কাসরো স্টেশনের কাছে ওই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোনও হতাহতের খবর নেই। উত্তরাখণ্ডের পুলিশ প্রধান অশোক কুমার জানান, ঘটনার সময়ে ট্রেনটি স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকার সুবাদেই আগুন নজরে আসার সঙ্গে সঙ্গেই যাত্রীদের নামিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে। এড়ানো গিয়েছে বড়সড় দুর্ঘটনা। প্রাথমিক অনুমান, শর্ট সার্কিট থেকেই ছড়িয়েছিল আগুন।
পুলিশ সূত্রের খবর, দেহরাদূনগামী ট্রেনটির সি-৫ কামরায় এই আগুন লেগে যায়। সে সময়ে কামরাটিতে ছিলেন কমপক্ষে ৩৫ জন যাত্রী। তবে সকলকেই অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে বলে রেল সূত্রে জানানো হয়েছে। আগুন লাগার আঁচ পেতেই দ্রুত রেল পুলিশকে খবর দিয়েছিলেন কয়েক জন যাত্রী। খুব তাড়াতাড়ি শুরু করা হয় সি-৫ কামরাটিকে বাকি বগি থেকে বিচ্ছিন্ন করার প্রক্রিয়া। আসে দমকল। সময় মতো যথাযথ পদক্ষেপ করা হয় বলেই বড়সড় দুর্ঘটনা এড়ানো গিয়েছে বলে জানিয়েছেন রেল কর্তৃপক্ষ।
আতঙ্ক সামাল দেওয়ার পর ক্ষতিগ্রস্ত কামরার যাত্রীদের অন্যান্য কামরায় জায়গা করে দেওয়া হয় বলেই রেল সূত্রের খবর। পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হওয়ার পর ট্রেনটি ফের গন্তব্যের দিকে রওনা দেয়। শনিবারই সেটি দেহরাদূনে পৌঁছে গিয়েছে। এক টুইট বার্তায় শতাব্দী এক্সপ্রেসের এই দুর্ঘটনায় প্রাণহানি এড়ানো এবং বড়সড় ক্ষতি না-হওয়া নিয়ে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী তিরথ সিংহ রাওয়াত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy