ধসে গিয়েছে মাটি। ঝুলছে টয় ট্রেনের লাইন। ছবি: পিটিআই।
ক্রমাগত বৃষ্টির কারণে ধস। তার জেরে শিমলার সামার হিলে ঝুলছে টয় ট্রেনের লাইনের একাংশ। কালকা থেকে শিমলাগামী এই টয় ট্রেনকে ‘ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ’-এর স্বীকৃতি দিয়েছে ইউনেস্কো। হিমাচলে বিপর্যয়ের কারণে এ বার আঁচ পড়ল সেই ঐতিহ্যেও।
কালকা থেকে ছাড়ে এই টয় ট্রেন। ধীরে ধীরে ওঠে পাহাড়ে। ৯৬ কিলোমিটার পথ পেরিয়ে পৌঁছয় শিমলা। সময় লাগে পাঁচ ঘণ্টা। পাহাড়, উপত্যকা, জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে ট্রেনটি যাওয়ার সময় যাত্রীরা নৈসর্গিক দৃশ্য উপভোগের সুযোগ পান। কিন্তু আপাতত সে সুযোগ থেকে বঞ্চিত পর্যটকেরা। রেলের একটি সূত্র জানিয়েছে, টয় ট্রেনের লাইন মেরামতে প্রায় এক মাস সময় লাগতে পারে। খরচ পড়তে পারে ১৫ কোটি টাকা।
এ দিকে বৃষ্টি এবং তার কারণে দুর্ঘটনার সংখ্যা বেড়েই চলেছে হিমাচলে। বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত হিমাচল প্রদেশে মৃতের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ৭১-এ। উদ্ধারকাজে নেমেছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। সাহায্যে এগিয়ে এসেছে বায়ুসেনা। সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও প্রচুর। মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিংহ সুখু জানিয়েছেন, ভারী বৃষ্টি, ধসের কারণে সে রাজ্যে ১০ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। পুনর্গঠন করতে এক বছরেরও বেশি সময় লাগবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy