আলবানিয়ার মেয়ে অ্যাগনেস গোনশা বোজাশিউ ১৯২৮ সালে ‘নান’ হন, নাম হয় সিস্টার টেরিজা। ১৯৩৭ সালের ২৪ মে তিনি ‘মাদার’ হন। কাল রবিবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬ থেকে তিনি হবেন ‘সন্ত’ টেরিজা। সন্তদের তালিকায় তাঁর নাম যোগ হবে। এর পর তাঁর নামে ‘হোলি মাস’ হতে পারবে। চার্চ নামাঙ্কিত হতে পারবে টেরিজার নামে এবং ছবিতে তাঁর মাথার পিছনে ‘হেলো’ বা জ্যোতির্বলয় থাকতে পারবে।
ক্যাননাইজেশন বা সন্তায়ন: ধাপে ধাপে
১
ঈশ্বরের সেবক
২
প্রাথমিক ভিত
সমস্ত তথ্যপ্রমাণ দাখিল করা হয় এক জন ‘পস্ট্যুলেটর’-এর কাছে। তিনি সংশ্লিষ্ট ‘ঈশ্বরের সেবক’ সম্পর্কে আরও তথ্য সংগ্রহ করে সব কিছু বিবেচনা করে সন্তুষ্ট হলে সন্তায়ন প্রক্রিয়ার একটা ‘পস্ট্যুলেট’ বা প্রাথমিক ভিত তৈরি করেন।
৩
মহিমময়
পস্ট্যুলেট-এর ভিত্তিতে পোপের কাছে সুপারিশ করা হয় যে, তিনি ঈশ্বরের সেবক-এর মহিমার কথা ঘোষণা করুন। পোপ সেই ঘোষণা করলে ঈশ্বরের সেবক ‘ভেনারেবল’ বা মহিমময় আখ্যায় পরিচিত হন।
৪
আশীর্বাদপ্রাপ্ত
একটি বৈজ্ঞানিক কমিশন এবং একটি থিয়োলজিকাল কমিশন ‘ভেনারেবল’ মানুষটির সম্পাদিত অন্তত একটি ‘মিরাক্ল’ বা অলৌকিক কীর্তির সাক্ষ্যপ্রমাণ যাচাই করে সেটিকে অলৌকিক বলে স্বীকার করলে পোপের কাছে সেই সিদ্ধান্ত পাঠানো হয়। পোপ যদি মনে করেন, এ সবই সত্যি, তা হলে তিনি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির ‘বিয়েটিফিকেশন’ ঘোষণা করেন। এই কথাটির অর্থ: চার্চ এটা বিশ্বাসযোগ্য মনে করে যে, ওই ব্যক্তির পাপমুক্তি হয়েছে। তিনি ‘ব্লেসেড’ বা আশীর্বাদপ্রাপ্ত হয়ে স্বর্গে প্রবেশ করেছেন।
৫
দ্বিতীয় অলৌকিক
এই পদ্ধতিতে সন্তায়নের দিকে আরও এক ধাপ এগিয়ে যাওয়ার জন্য একটি দ্বিতীয় অলৌকিক ক্ষমতার প্রমাণের প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রেও একই পদ্ধতি অনুসরণ করা হয় এবং সেখানে পোপের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত।
১৯৯৯-২০১৬
সন্ত হওয়ার যোগ্য কোনও ব্যক্তির সন্তায়নের প্রক্রিয়াটি সচরাচর শুরু হয় তাঁর মৃত্যুর অন্তত ৫ বছর পরে। মাদার টেরিজার ক্ষেত্রে পোপ দ্বিতীয় জন পল এই নিয়ম শিথিল করেন। মাদার প্রয়াত হন ১৯৯৭ সালের ৫ সেপ্টেম্বর। ১৯৯৯ সালে পোপ তাঁর সন্তায়নের পদ্ধতি শুরু করার অনুমতি দেন।
আনন্দবাজার, এএফপি এবং রয়টার্সের ফাইল চিত্র।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy