হরিদ্বারের বিদ্বেষমূলক মন্তব্যের প্রতিবাদ দিল্লিতে। ফাইল চিত্র।
বিজেপি শাসিত উত্তরাখণ্ডের হরিদ্বারে আয়োজিত ধর্ম সংসদ থেকে বিদ্বেষমূলক মন্তব্যের বিরুদ্ধে ক্রমশ জোরালো হচ্ছে প্রতিবাদ। এই পরিস্থিতিতে আজ বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিট গঠন করল রাজ্য।
তা হলে কি এ বার অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হবে? প্রশ্নের উত্তরে গঢ়বালের ডিআইজি কে এস নাগনিয়াল জানিয়েছেন, তদন্তে উপযুক্ত প্রমাণ মিললে কাউকেই রেয়াত করা হবে না।
ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় ধর্ম সংসদের আয়োজক তথা দাসনা মন্দিরের প্রধান পুরোহিত যতি নরসিংহানন্দের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এফআইআর হয়েছে মুসলিম ধর্ম ছেড়ে হিন্দু হওয়া ওয়াসিম রিজ়ভি ওরফে জিতেন্দ্র নারায়ণ ত্যাগী, সাধ্বী অন্নপূর্ণা এবং ধর্মদাস নামে তিন জন স্বঘোষিত ধর্মগুরুর বিরুদ্ধেও।
প্রসঙ্গত, ডিসেম্বরের ১৬ থেকে ১৯ তারিখ পর্যন্ত ওই ধর্ম সংসদে ঘৃণাভাষণের বিষয়টি প্রশাসনের নজরে এলেও এতদিন কার্যত উদাসীন ভূমিকায় দেখা গিয়েছে প্রশাসনকে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের দাবিতে গত কয়েক দিনে সমাজের বিভিন্ন স্তরের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের চাপ ক্রমশ বাড়ছিল। তার জেরেই রাজ্য সরকারের এই পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে।
ইতিমধ্যেই দেশের তিন বাহিনীর পাঁচ প্রাক্তন প্রধান ঘৃণাভাষণের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে চিঠি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দকে। চিঠির প্রতিলিপি পাঠানো হয়েছে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এন ভি রমণা-সহ অনেককেই। রাজনৈতিক দলগুলির প্রধানদের কাছেও চিঠি পাঠিয়েছেন বাহিনীর প্রাক্তন প্রধানেরা।
এ বার হরিয়ানা পুলিশের প্রাক্তন ডিজি বিকাশ নারায়ণ রাই, উত্তরপ্রদেশ পুলিশের প্রাক্তন
ডিজি বিভূতি নারায়ণ রাই, উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন ইনস্পেক্টর জেনারেল এসআর দারাপুরী এবং অবসরপ্রাপ্ত আইপিএস বিজয় শঙ্কর সিংহ উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিংহ ধামীর কাছে চিঠি দিয়েছেন কড়া পদক্ষেপের দাবি জানিয়ে। তাঁদের অভিযোগ, ওই ধর্ম সংসদের আয়োজকেরা ঘৃণাভাষণের মাধ্যমে ভয় এবং সন্ত্রাস ছড়াচ্ছেন। লঙ্ঘন করা হচ্ছে সংবিধান।
ধর্ম সংসদের আয়োজকদের গ্রেফতারির দাবিতে শুক্রবার এবং শনিবার দেহরাদূন ও হরিদ্বারে মিছিল করেছেন মুসলিমরাও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy