—ফাইল চিত্র।
পরীক্ষা পিছনোর আর্জি জানিয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছিল প্রধানমন্ত্রীকে। তার জবাব না আসায় এ বার সরাসরি সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হল ছয় অ-বিজেপি রাজ্যের সরকার। ডাক্তারি (নিট) ও আইআইটি প্রবেশিকা (জেইই) পরীক্ষার রায় পুনর্বিবেচনা করে দেখতে শীর্ষ আদালতে আবেদন জানাল তারা।
পশ্চিমবঙ্গ, পঞ্জাব, মহারাষ্ট্র, রাজস্থান, ছত্তীসগঢ় এবং ঝাড়খণ্ড, শুক্রবার শীর্ষ আদালতে যৌথ আবেদন জমা দিয়েছে এই ছয় রাজ্য। প্রত্যেক রাজ্য থেকে এক জন করে মন্ত্রী সেখানে প্রতিনিধিত্ব করছেন। বাংলার হয়ে আদালতে প্রতিনিধিত্ব করছেন রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক।
আদালতে তাঁরা জানিয়েছেন, বর্তমানে যা পরিস্থিতি, তাতে লক্ষ লক্ষ পরীক্ষার্থীর জন্য যানবাহন এবং প্রয়োজনীয় সামগ্রীর বন্দোবস্ত করা প্রায় অসম্ভব। তাই যে সমস্ত পড়ুয়া নিট এবং জেইই পরীক্ষায় বসতে আগ্রহী, তাঁদের নিরাপত্তা এবং জীবনের অধিকার সুনিশ্চিত করতে আপাতত পরীক্ষা স্থগিত রাখা উচিত।
আরও পড়ুন: ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যেই নিতে হবে ফাইনাল পরীক্ষা, নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের
এর পাশাপাশি, এ দিন দিল্লির শাস্ত্রী ভবন-সহ একাধিক এলাকায় নিট এবং জেইই-র বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখান কংগ্রেস নেতারা। সেখানে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অনিল কুমার-সহ বেস কয়েক জন কংগ্রেস নেতাকে আটক করে পুলিশ।
কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে গিয়ে, পরীক্ষা স্থগিত রাখার আর্জি নিয়ে এর আগে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন ১১ রাজ্যের ১১ জন পড়ুয়া। কিন্তু গত ১৭ অগস্ট তাঁদের আর্জি খারিজ করে দিয়ে আদালত বলে, ‘‘জীবন থেমে থাকে না। সতর্কতা মেনে এগিয়ে যেতে হবে আমাদের। পড়ুয়ারা কি একটা বছর নষ্ট করার পক্ষে? কোভিড হয়ত আরও এক বছর থাকবে। তত দিন কি অপেক্ষা করবেন আপনারা?’’
কিন্তু আদালতের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। অতিমারি পরিস্থিতিতে পরীক্ষার বিরোধিতায় একজোটে সরব হন বিরোধীরা। বুধবার কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধী ও বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকা বিরোধীদের বৈঠকে মূল আলোচ্য বিষয় হয়ে দাঁড়ায় নিট এবং জেইই।
আরও পড়ুন: রিয়াকে ডেকে পাঠাল সিবিআই, সুশান্ত মৃত্যুরহস্য নিয়ে চলছে জেরা
সেখানে সরাসরি সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার প্রস্তাব দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বর্তমানে যা পরিস্থিতি, তাতে পরীক্ষার আয়োজন করলে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে জানান ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। গতকাল পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরেন্দ্র সিংহ বলেন, ‘‘বছর নষ্ট করার কথা বলছি না আমরা। পরের বছর দু’-দু’টো পরীক্ষা নেওয়াও সম্ভব নয়। তাই দু’-তিন মাসের জন্য পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ার আর্জি জানাচ্ছি।’’ তার পরেই এ দিন একজোটে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন তাঁরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy