শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত লালুপ্রসাদ ও নীতীশ কুমারের দ্বৈরথ মেটানোর চেষ্টা করছেন সনিয়া গাঁধী। আজ সনিয়া বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার ও আরজেডি-প্রধান লালুপ্রসাদের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন। লালু ও তাঁর পুত্র-কন্যার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে বিহারের জোট নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হলেও, তা অটুট রাখার চেষ্টা করছেন সনিয়া। বিহারের সরকার থেকে বিজেপিকে দূরে রাখাই সভানেত্রীর লক্ষ্য।
বিহার প্রদেশ কংগ্রেসের মুখপাত্র হরেন্দ্র কুমার বর্মা বলেন, ‘‘সনিয়াজি আজ লালু-নীতীশ দু’জনকেই ফোন করেছিলেন। তিনি চান, দু’জন ঐক্যবদ্ধ থাকুন। মনে হচ্ছে দু-এক দিনের মধ্যেই সব কিছু ঠিক হয়ে যাবে।’’ রাষ্ট্রপতি ভোটে এনডিএ-র প্রার্থীকে সমর্থন করেছেন নীতীশ। কিন্তু উপরাষ্ট্রপতি ভোটে তিনি বিরোধী জোটের প্রার্থীকেই সমর্থন করেছেন। সনিয়া তাই হাল ছাড়ছেন না। লালুর সঙ্গে সনিয়ার দীর্ঘদিনের সম্পর্ক। তাঁকেও সমর্থন করছেন সনিয়া। উপমুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে লালু-তনয় তেজস্বী যাদবকে সরতে হলে বিহারের মহাজোট ভেঙে যাবে। লালু, কংগ্রেস সমর্থন প্রত্যাহার করলেও বিজেপি নীতীশের সরকারকে সমর্থন দিতে তৈরি। সনিয়া সেটাই আটকাতে চাইছেন। হরেন্দ্র বলেন, ‘‘উনি দুই নেতাকেই বলেছেন, বিজেপিকে ক্ষমতা থেকে দূরে রাখতে হবে।’’
সনিয়া নীতীশকে বলেছেন, বিজেপির সঙ্গে না গেলে তিনি বিরোধী রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে পারবেন। জেডি(ইউ) দাবি তুলেছে, তেজস্বী অভিযোগের ব্যাখ্যা দিন। সে ক্ষেত্রে তিনি চাইলে সমস্ত সম্পত্তির হিসেব নিয়ে নীতীশকে দেখান, এমন প্রস্তাবও দিচ্ছেন কংগ্রেস নেতারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy