পশ্চিম থেকে পূর্ব। আর তা নিয়েই চুলচেরা এগিয়ে থাকার লড়াই উত্তরপ্রদেশে।
বিহার এবং পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি উত্তরপ্রদেশেও এ বার ৭টি দফায় ভোট। আগে দিল্লির নিকটবর্তী পশ্চিম উত্তরপ্রদেশে ভোট শুরু হয়ে শেষ হবে পূর্বে। রাজনৈতিক শিবিরের মতে, এই ভোটপর্বের অভিমুখ নিয়ে বিরোধী জোট, কংগ্রেস এবং বিজেপি নিজেদের মতো করে ফায়দা লোটার চেষ্টা করছে। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে এই অভিমুখের ফলে বিজেপির লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। সাধারণ ভাবে পশ্চিম উত্তরপ্রদেশে মেরুকরণের রাজনীতি বেশি সফল হয়। যা এমনিতেই বিজেপির জন্য সুবিধেজনক। লোকসভা ভোটের শুরুতেই দেশের অন্যান্য প্রান্তে বিজেপির প্রথম সারির নেতারা ব্যস্ত থাকলেও পশ্চিম উত্তরপ্রদেশে বাড়তি সুবিধে থাকছেই।
পূর্ব উত্তরপ্রদেশে আবার জাতপাতের ভিত্তিতেই বেশি ভোট হয়। তাতে সুবিধে এসপি ও বিএসপির। ঐতিহ্যগত ভাবে পূর্ব উত্তরপ্রদেশ ছিল বিজেপির দুর্বল ঘাঁটি। মেরুকরণের সুযোগ কম থাকা এবং দিল্লির থেকে দূরত্ব যার অন্যতম কারণ। এসপি-বিএসপি চিরকালই এই অঞ্চলে ভাল ফল করেছে। কিন্তু নরেন্দ্র মোদী এখানে প্রভাব বাড়াতে উদ্যোগী হয়ে গত লোকসভা ভোটে নিজে দাঁড়িয়েছিলেন বারাণসী থেকে। যোগী আদিত্যনাথকেও দাঁড় করানো হয়েছিল পূর্ব উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুর থেকে। গত পাঁচ বছরে এই অঞ্চলে শক্তি বাড়িয়েছে বিজেপি। সেখানে ভোট শেষ পর্বে। মনে করা হচ্ছে প্রথম ছয় পর্বে দেশে ঘোরার পরে মোদী ঝাঁপাতে পারবেন পূর্বে।
পূর্ব উত্তরপ্রদেশে নিজের রাজনৈতিক অভিষেক ঘটানোর পর প্রিয়ঙ্কা গাঁধীও যথেষ্ট রাজনৈতিক গুঞ্জন তৈরি করেছেন। তিনিও অনেকটা সময় পাচ্ছেন ওই অঞ্চলে ঝড় তোলার জন্য। কংগ্রেস সূত্রের খবর, খুব শীঘ্রই সেখানে রোড শো করতে চলেছেন তিনি।
এসপি এবং বিএসপি-র পক্ষ থেকে অবশ্য এই তত্ত্ব উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। তাদের মতে, যেহেতু রাজ্যটি এত বড় তাই ৭ পর্বে ভোট করাটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। এর আগেও একাধিক বার এমন হয়েছে। এসপি ও বিএসপি মনে করিয়ে দিচ্ছে, বিজেপির একাধিক তারকা প্রচারক রয়েছেন। কিন্তু তাদের ঘরে রয়েছেন এক জন করে (যথাক্রমে অখিলেশ এবং মায়াবতী)। ফলে পশ্চিম শেষ করে পূর্বে ভোট হলে তাঁদের সুবিধে বেশি ছাড়া কম নয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy