বন্ধে শুনশান হাইলাকান্দির হাসপাতাল রোড। মঙ্গলবার অমিত দাসের তোলা ছবি।
জাতীয় নাগরিকপঞ্জি নবীকরণের মাধ্যমে অসমে শ্রেণি বিভাজনের চক্রান্তের অভিযোগে হাইলাকান্দিতে ১২ ঘণ্টা বন্ধ পালন করা হল। পিএসওয়াইএফ সংগঠন আজ বন্ধের ডাক দিয়েছিল। সংগঠনের তরফে রাজ্যের নাগরিকদের ক্ষেত্রে এনআরসি নথিতে ‘আদি বাসিন্দা’ ও ‘আদি বাসিন্দা নন’ শব্দ ব্যবহার না করার দাবি জানানো হয়।
এ দিন সকাল থেকেই প্রগতিশীল ছাত্র যুব সংস্থার সদস্যরা রাস্তায় নামেন। ধলেশ্বর-ভৈরবী জাতীয় সড়কের বিভিন্ন জায়গায় অবরোধ করা হয়। রাস্তায় যানবাহন ছিল কম। অফিস-আদালতে উপস্থিতি ছিল নগণ্য। অনেক সরকারি দফতরে কোনও কাজ হয়নি। শহরের অধিকাংশ দোকান বন্ধ ছিল। দুপুরে মনাছড়ায় বন্ধ সমর্থকরা জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন। রাস্তার দু’দিকে অসংখ্য যানবাহন থম্কে যায়। হাইলাকান্দির ডিএসপি ফয়েজ আহমেদ, লালা থানার ওসি মনিরুল ইসলাম বিশাল পুলিশ বাহিনী নিয়ে অবরোধকারীদের সরিয়ে দেন। কয়েক জন বন্ধ সমর্থকদের গ্রেফতারও করা হয়। জামিরা, ঘাড়মুড়া, হাইলাকান্দিতেও সড়ক থেকে অবরোধকারীদের সরিয়ে দেয় পুলিশ।
পিএসওয়াইএফ নেতা আবু সাইদ মিরা, ইকবাল বাহার বড়ভুঁইঞা জানান— হাইলাকান্দির বিভিন্ন জায়গা থেকে তাঁদের সংগঠনের শতাধিক অবরোধকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁরা অভিযোগ করেন, এনআরসি নবীকরণের নামে অসমে বসবাসকারী বাঙালিদের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করা হয়েছে। তাঁরা প্রশ্ন তোলেন, এক রাজ্যে বসবাসকারী নাগরিকরা কী করে দুই শ্রেণির নাগরিক হতে পারেন?
এ দিন গ্রেফতার হওয়া বন্ধ সমর্থকদের মধ্যে ছিলেন সংগঠনের জেলা সম্পাদক ফকরুল ইসলাম, জেলা সভাপতি শামিম হাসান-সহ বিধু ভূষণ দাস, ইকবাল বাহার, আবু সাইদ মিরা। জেলা পুলিশের ডিএসপি ফয়েজ আহমেদ জানান, বন্ধ ছিল শান্তিপূর্ণ। অবরোধে সামিল থাকায় হাইলাকান্দি শহর এবং লালা থেকে ৩০ জনকে পাকড়াও করা হয়েছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy