পরা যাবে না ছোট পোশাক! গ্রাফিক্স তিয়াসা দাস।
শর্ট স্কার্ট পরে আসা যাবে না ক্লাসে।কলেজের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ছেলেদের থেকে দূরে বসতে হবে মেয়েদের। রাত ১০ টার পর হোস্টেলের বাইরে থাকতে পারবেন না ছাত্রীরা। সম্প্রতি এ রকমই ফতোয়া জারি করেছে মহারাষ্ট্রের মুম্বইয়ের জেজে হসপিটলস গ্রান্ট মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ। আর এই ফতোয়া ঘিরেই অসন্তোষ দানা বেঁধেছে মেডিক্যাল কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে।
২১ মার্চ ছিল দোল উৎসব। অভিযোগ, সেই উৎসবের আনন্দে ভাসতে কিছু ছাত্র ছাত্রী নিজেদের মধ্যে জামা-কাপড় ছিঁড়েছিল। তার পরই এ রকম নির্দেশিকা চাপিয়ে দেয় কলেজ কর্তৃপক্ষ। এই জোর করে চাপিয়ে দেওয়া ফতোয়া মানতেই রাজি নন ছাত্র ছাত্রীরা। এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে গোড়ালি অবধি কাপড় পড়ে ও মুখ ঢেকে প্রতিবাদ জানিয়েছেন তাঁরা। কলেজ কর্তৃপক্ষের নির্দেশিকার বিরুদ্ধে বিক্ষোভও দেখিয়েছেন তাঁরা।
জেজে হাসপাতালের পড়ুয়াদের অভিযোগ, ডিন অজয় চন্দনওয়ালে ও ওয়ার্ডেন শিল্পা পাটিল এই নির্দেশিকা জারি করেছেন।বিক্ষোভে অংশ নেওয়া পড়ুয়ারা বলেছেন, ‘‘আমরা কলেজ প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা জানাই। এই নির্দেশিকা আমাদের ইচ্ছামতো পোশাক পরার অধিকারকে খর্ব করে। তাই এটি অযৌক্তিক। কিছু পড়ুয়ার জন্য কেন সকলকে শাস্তি দেওয়া হচ্ছে?’’
ছাত্রদের অভিযোগের জবাবে ডিন ডঃ অজয় চন্দনওয়ালে বলেছেন,‘‘ছাত্রীদের কাছ থেকে আমাদের প্রত্যাশা হল তারা যেন যথাযথ পোশাক পরে।এটাই পড়ুয়াদের প্রতি আমার বার্তা। দোলের সময় কিছু বিশৃঙ্খলা হয়েছিল। যদি পড়ুয়াদের কোনও রাগ বা আপত্তি থাকে,আমরা তাঁদের কথা শুনতে প্রস্তুত।’’
যদিও এই দোলের সময় বিশৃঙ্খলার অভিযোগ মানতে রাজি নন পড়ুয়ারা। তাঁদের দাবি, আনন্দে মাততেই কিছু জন নিজেদের মধ্যে জামা-কাপড় ছেঁড়াছিঁড়ি করেছে। তাঁরা অন্য কারও সঙ্গে কোনও খারাপ ব্যবহার করেনি। হোস্টেলের অব্যবস্থা নিয়ে পাল্টা অভিযোগ করেছেন পড়ুয়ারা। তাঁরা বলেছেন, ‘‘হোস্টেলের বাথরুম ঠিকমতো পরিষ্কার করা হয় না। হস্টেলের ছাদ থেকে প্লাস্টার খসে পড়ছে। এ সব ঠিক না করে কর্তৃপক্ষ পোশাকবিধি চাপানোর চেষ্টা চালাচ্ছে।’’
আরও পড়ুন: সনিয়াকে বিধায়কের কটূক্তি ঘিরে অস্বস্তি বাড়ছে বিজেপির, মুখ খুললেন স্বপ্না
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy