Advertisement
০১ মে ২০২৪
Government School

government school: ‘এক দশক পরে আর থাকবে না সরকারি স্কুল’

স্বয়ং অসমের মুখ্যমন্ত্রীই ঘোষণা করলেন এমন কথা। বললেন, ‘‘এখন যে ধারা , তাতে ১০ বছর পরে আর কোনও ছাত্রছাত্রী সরকারি স্কুলে পড়তে চাইবে না।’’

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
গুয়াহাটি শেষ আপডেট: ১৭ এপ্রিল ২০২২ ০৮:১৩
Share: Save:

আর এক দশকের মধ্যে অসমের সব সরকারি স্কুল বন্ধ হতে চলেছে বলে মন্তব্য করলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা! গত প্রায় দেড় দশকের উপরে শিক্ষা দফতর ছিল হিমন্তবিশ্ব শর্মার হাতেই। তিনি কার্বি আংলংয়ের ডিফুতে সরকারি শিক্ষকদের নিয়োগপত্র তুলে দেওয়ার অনুষ্ঠানে জানান,
এখনকার যে ধারা চলছে, তাতে ১০ বছর পরে আর কোনও ছাত্রছাত্রী সরকারি স্কুলে পড়তে চাইবে না। সরকারি স্কুলের শিক্ষকদের স্বেচ্ছাবসর নিতে হবে।

হিমন্তের কথায়, “২০১২-১৪ সালের মধ্যে সরকার ৫৩ হাজার শিক্ষক নিয়োগ করেছিল। কিন্তু ২০১২ সালে যেখানে ৮৪ শতাংশ ছাত্রছাত্রী সরকারি স্কুলে পড়ত, সেখানে এখন সরকারি স্কুলে যায় মাত্র ৬৮ শতাংশ ছাত্রছাত্রী। এমন হারে ছাত্রছাত্রী কমতে থাকলে ১০ বছর পরে সরকারি স্কুলে পড়ার মতো ছাত্রছাত্রীই থাকবে না।” হিমন্ত জানান, এখন কম ছাত্রছাত্রী থাকা স্কুলগুলির একত্রীকরণের পদক্ষেপ করছে রাজ্য সরকার। কিন্তু তার পরেও যখন ছাত্রছাত্রী থাকবে না, তখন সরকারের হাতে আর কোনও উপায় থাকবে না। ১০ বছর পরে সব শিক্ষককে বাধ্যতামূলক স্বেচ্ছাবসরে পাঠাতে হবে। তিনি বলেন, “গুয়াহাটি মহানগরে এখন এমন অবস্থা যে অনেক সরকারি স্কুলই ছাত্রছাত্রীর অভাবে বন্ধ করে দিতে হবে।”

নবনিযুক্ত শিক্ষকদের সামনে আক্ষেপ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘আমি মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন যদি রাস্তা, হাসপাতাল না হয় তবে মানুষ আমাকেই দায়ী করবে। কিন্তু সরকারি স্কুলে ছাত্রছাত্রী কমার জন্য দায়ী কে? এখন অসমের সমস্যা হল, সবাই শুধু সরকারের কাছে চায়। কিন্তু সমাজকে কিছু ফিরিয়ে দিতে ইচ্ছুক নয়। শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার আগে ভাবতে হবে এত বড় দায়িত্ব নিতে আমি যোগ্য কি না। আগামী ৩০ বছর আমি মানুষের জীবন গড়তে সক্ষম হতে পারব কি না।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Government School Assam
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE