কর্নাটকে ভোট পরবর্তী চিত্রনাট্যে, অনেকটাই ফিরল বিচারবিভাগের ভাবমূর্তি।
কর্নাটকে ভোট পরবর্তী চিত্রনাট্য, কৌলীন্য ফিরিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্টের। শীর্ষ আদালতকে কেন্দ্র করে সম্প্রতি যে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল, তার আঁচও অনেকটা কমে গেল বলে অভিমত বিশেষজ্ঞদের।
গত কয়েক মাস ধরে বিতর্কের কেন্দ্রে চলে এসেছিলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্র। তাঁর বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিলেন শীর্ষ আদালতের চার প্রবীণ বিচারপতি। অভিযোগ তুলেছিলেন, শীর্ষ আদালতের কাজ প্রথা মেনে হচ্ছে না। কোন মামলার শুনানি কোন বেঞ্চে হবে তা নিয়ে পক্ষপাত করা হচ্ছে, রাজনৈতিক ভাবে স্পর্শকাতর মামলাগুলি বাছাই করা কিছু বিচারপতির কাছে পাঠানো হচ্ছে, বাঁচানোর চেষ্টা চলছে ও শাসক দলের নেতাদের। বিচারপতিদেরই এ হেন বেনজির অভিযোগে প্রশ্নচিহ্নের মুখে দাঁড়িয়েছিল বিচারবিভাগের ভাবমূর্তি। পরিস্থিতি এমনই হয় যে, প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্টের তোড়জোড় পর্যন্ত শুরু করে কংগ্রেস।
কিন্তু কর্নাটক ভোটের ফলের পর গত বুধবার মধ্যরাতে সেই কংগ্রেসের আর্জিতে সাড়া দিতে দ্বিধা করেননি প্রধান বিচারপতি। রাতেই তিন বিচারপতির বেঞ্চ গড়ে দেন তিনি। শুরু হয় শুনানি। শেষ পর্যন্ত সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের সময়সীমা ১৫ দিন থেকে কমে আসে ২৮ ঘণ্টায়। পনেরো দিন সময় পেলে বিজেপির পক্ষে বিরোধী বিধায়ক ভাঙিয়ে সংখ্যা জোগাড় করে নেওয়া সুবিধাজনক হয়ে যেত বলেই অনেকের মত।
বিচারপতি এ কে সিক্রি, এস এ বোবদে ও অশোক ভূষণের বেঞ্চের বিরুদ্ধে কোনও পক্ষই কোনও অনুযোগ করেনি। বস্তুত, বেঞ্চ এমন কিছু করেনি, যা আইনি কেতাবের বাইরে। কিন্তু আইনি পরিসীমার মধ্যে থেকেই এই বেঞ্চ স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্দেশ দিয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। কংগ্রেস এ দিন প্রোটেম স্পিকারের মনোনয়ন নিয়ে দরবার করলে বেঞ্চ রায় দিয়েছে, এ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করার দরকার নেই। কিন্তু পাশাপাশি আস্থা ভোটের সরাসরি সম্প্রচারের নির্দেশ দিয়ে বেনিয়মের সম্ভাবনা কমিয়ে দিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy