Advertisement
৩০ এপ্রিল ২০২৪
Supreme Court of India

Narada Case: সুপ্রিম কোর্টে নারদ মামলার শুনানি থেকে সরে দাঁড়ালেন বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু

মঙ্গলবার সর্বোচ্চ আদালতের অবকাশকালীন বেঞ্চে শুনানির কথা ছিল। ওই বেঞ্চে ছিলেন বিচারপতি হেমন্ত গুপ্ত এবং বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু।

বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু ও মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়

বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু ও মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় গ্রাফিক- শৌভিক দেবনাথ।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২২ জুন ২০২১ ১১:৩০
Share: Save:

সুপ্রিম কোর্টে নারদ মামলার শুনানি থেকে সরে দাঁড়ালেন বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু। নারদ মামলায় কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজ্য সরকার ও আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক। মঙ্গলবার সর্বোচ্চ আদালতের অবকাশকালীন বেঞ্চে মুখ্যমন্ত্রীর আবেদনের শুনানির কথা ছিল। ওই বেঞ্চে ছিলেন বিচারপতি হেমন্ত গুপ্ত এবং বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু। যদিও, মঙ্গলবার বিচারপতি বসু এই মামলার শুনানি থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন।

বিচারপতি বসু আগে কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি ছিলেন। বিচারপতি হেমন্ত গুপ্ত প্রধান বিচারপতি এনভি রামানাকে অনুরোধ জানিয়েছেন যাতে এই মামলার শুনানির জন্য মঙ্গলবার আলাদা বেঞ্চ গঠন করা হয়।

১৭ মে নারদ-কাণ্ডে গ্রেফতার হন রাজ্যের ৪ নেতা-মন্ত্রী। ওই ঘটনার প্রতিবাদে সিবিআই দফতরে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা, ধর্নায় বসেন মুখ্যমন্ত্রী। অন্য দিকে, বিচার চলাকালীন আদালত চত্বরে উপস্থিত ছিলেন আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক। এই বিষয়গুলিকে একত্রিত করে নারদ মামলা অন্যত্র সরানোর দাবি করে সিবিআই। তাদের দাবি, প্রভাবশালীদের উপস্থিতির ফলে নিম্ন আদালতের শুনানি নিরপেক্ষ হয়নি এমন ধারণা তৈরি হবে জনমানসে। গত ২১ মে থেকে মামলা অন্যত্র সরানো নিয়ে হাই কোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চে চলে শুনানি।

প্রথমে সওয়াল করেন সিবিআইয়ের কৌঁসুলি তুষার মেহতা। তাঁর সওয়াল পর্ব শেষে অভিযুক্তদের হয়ে সওয়াল শুরু করেন অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি। ৯ জুন অভিষেকের সওয়ালের মাঝখানে মুখ্যমন্ত্রীর হয়ে হলফনামা জমার দেওয়ার আবেদন জানান তাঁর আইনজীবী রাকেশ দ্বিবেদী। কিন্তু আদালত সেই আবেদন খারিজ করে দেয়। ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দল এবং বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, এক পক্ষের সওয়াল শেষে নতুন করে হলফনামা নিলে তার উপর ফের আলোচনা হবে। তাই তখন মুখ্যমন্ত্রীর হলফনামা জমা নেয়নি আদালত। হাই কোর্টের ওই দিনের নির্দেশের প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেন মুখ্যমন্ত্রী।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE