Advertisement
০১ নভেম্বর ২০২৪
PMLA

Supreme Court: ইডির ‘বাড়তি’ ক্ষমতার বিরুদ্ধে আর্জি শুনল সুপ্রিম কোর্ট, মত জানতে নোটিস কেন্দ্রকে

বিরোধীদের অভিযোগে, ইডি-কে রাজনৈতিক স্বার্থে কাজে লাগাতে তার হাতে লাগামহীন ক্ষমতা তুলে দিয়েছে নরেন্দ্র মোদী সরকার।

গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।

গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৫ অগস্ট ২০২২ ১৫:১০
Share: Save:

কেন্দ্রীয় সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-র বিশেষ ক্ষমতা নিয়ে রায় পুনর্বিবেচনার আবেদনের শুনানিতে আপত্তি নেই সুপ্রিম কোর্টের। বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের মতামত জানতে চেয়ে নোটিস পাঠানো হয়েছে।

কেন্দ্রের নয়া আইনে সায় দিয়ে গ্রেফতারি, তল্লাশি, সমন পাঠানো, নগদ-সম্পত্তি আটকের মতো ইডির যাবতীয় ক্ষমতা আপাতত বহাল রাখার কথা বলেছে শীর্ষ আদালত। তবে অভিযুক্তকে গ্রেফতারির কারণ জানাতে হবে বলে গত ২৭ জুলাই সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশও বৃহস্পতিবার বহাল রেখেছে প্রধান বিচারপতি এনভি রমণার বেঞ্চ।

বিরোধীরা অভিযোগ তুলেছিল, ইডি-কে রাজনৈতিক স্বার্থে কাজে লাগাতে তার হাতে লাগামহীন ক্ষমতা তুলে দিয়েছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। ইডির ক্ষমতার বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে প্রায় আড়াইশো মামলা দায়ের হয়েছিল। কিন্তু গত ২৭ জুলাই কেন্দ্রকে স্বস্তি দিয়ে বিচারপতি এ এম খানউইলকরের বেঞ্চ জানিয়ে দিয়েছিল, আর্থিক নয়ছয় প্রতিরোধ আইনে (পিএমএলএ) ইডি-কে যে সব ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে, তা সংবিধান-বিরুদ্ধ নয়। আর্থিক কেলেঙ্কারি রুখতে কড়া আইনেরই প্রয়োজন। সেই রায় পুনর্বিচনার আবেদন জানিয়ে কংগ্রেস সাংসদ কার্তি চিদম্বরম যে আবেদন জানিয়েছিলেন বুধবার তা শুনতে রাজি হয়েছিল প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ।

সংশোধিত পিএমএলএ আইন অনুযায়ী, কাউকে গ্রেফতার করার আগে ইডির তরফ থেকে অভিযুক্তকে, তাঁর বিরুদ্ধে কী কী অভিযোগ জানানোর প্রয়োজন নেই। ইডি তদন্ত শুরুর আগে যে ইসিআইআর (এনফোর্সমেন্ট কেস ইনফর্মেশন রিপোর্ট) দায়ের করে, তা গ্রেফতারির আগে দেখাতে হয় না। ইডির এই ক্ষমতা সংবিধানের মৌলিক অধিকারের বিরোধী বলে অভিযোগ উঠেছিল। কিন্তু ২৭ জুলাই অবসর নেওয়ার দু’দিন আগে বিচারপতি খানউলকর তাঁর রায়ে জানিয়েছিলেন, ইসিআইআর দেখানোর প্রয়োজন নেই। তা ইডির নিজস্ব নথি। কিন্তু অভিযুক্তকে কেন গ্রেফতার করা হচ্ছে, তা জানাতে হবে।

এ ছাড়া একটি ক্ষেত্রে বিচারপতি খানউইলকরের বেঞ্চ পিএমএলএ নিয়ে আপত্তিতে স্বীকৃতি দিয়েছিল। মনমোহন সরকারের জমানায় তৈরি ওই আইন, মোদী সরকারের সময়ে একাধিক বার সংশোধন করা হয়েছে। গত বাজেট পেশ করার সময়ে অর্থ বিলের মাধ্যমেও পিএমএলএ-তে সংশোধন করা হয়েছিল। যাতে রাজ্যসভায় বিরোধীরা তাতে বাধা দিতে না পারে সেই উদ্দেশ্যেই ছিল এই পদক্ষেপ। কংগ্রেসের জয়রাম রমেশ এ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছিলেন। বিচারপতি খানউইলকরের বেঞ্চ বলেছে, এই বিষয়টি বিচারের জন্য সাত বিচারপতির বেঞ্চে পাঠানো হবে।

অন্য বিষয়গুলি:

PMLA ED Enforcement Directorate Supreme Court
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE