সুষমা স্বরাজ। ফাইল চিত্র।
গোটা সপ্তাহটা বিদেশ সফরে ব্যস্ত ছিলেন। পাসপোর্ট অফিসে ধর্ম নিয়ে দম্পতিকে হেনস্থার অভিযোগ নিয়ে বিতর্কের কথা জানতেন না। আজ দেশে ফিরে এ কথা জানালেন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ।
লখনউয়ের পাসপোর্ট অফিসের ওই ঘটনার পরই তড়িঘড়ি সংশ্লিষ্ট অফিসার বিকাশ মিশ্রকে বদলি করা ও ওই দম্পতিকে পাসপোর্ট দিয়ে দেওয়া নিয়ে সমালোচনার ঝড় তুলেছে বিজেপি, আরএসএস এবং তাদের সমর্থকদের একটি অংশ। সোশ্যাল মিডিয়ায় কেউ লিখেছেন, ‘‘উনি তো মরতে বসেছিলেন। অন্যের কাছ থেকে ধার করা একটি কিডনি নিয়ে বেঁচে আছেন। সেটিও কখন বিকল হবে ঠিক নেই।’’ কারও প্রশ্ন, ‘ইসলামি কিডনি’ পেয়েছেন বলেই কি পাসপোর্ট নিয়ে এমন পক্ষপাতদুষ্ট সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন?
নিজের শিবিরেই বিদেশমন্ত্রী এমন কদর্য আক্রমণের মুখে পড়ায় আজ তাঁর পাশে দাঁড়াল কংগ্রেস। রাহুল গাঁধীর দল বিবৃতি দিয়ে জানাল, এমন অন্যায় আক্রমণের তারা নিন্দা করছে। সুষমা নিজে এর প্রতিবাদ করেছেন ভিন্ন ভাবে। গেরুয়া শিবিরের লোকজনের কিছু মন্তব্য রিটুইট করে শ্লেষের সঙ্গে লিখেছেন, ‘‘এগুলি ‘লাইক’ করলাম। আমি সম্মানিতই বোধ করছি এতে।’’ রাজনীতির লোকজন মনে করছেন, নিজেদের শিবিরেই এমন আক্রমণ নিয়ে সুষমা কার্যত প্রশ্ন ছুড়ে দিলেন নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ, মোহন ভাগবতদের দিকে। বিচার চাইলেন নেতৃত্বের কাছে।
পাসপোর্ট-কাণ্ড আজ নতুন মাত্রা পেয়েছে, ওই ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী কুলদীপ সিংহের এক দাবিতে। তাঁর বক্তব্য, কিছু লোক অপহরণ করেছিল তাঁকে। কোনও রকমে তাদের কাছ থেকে পালিয়ে এসেছেন। পাসপোর্ট কাণ্ডের সঙ্গে এই অপহরণের যোগ রয়েছে বলে কুলদীপের দাবি। পুলিশ সব সম্ভাবনা খতিয়ে দেখছে। বিদেশ মন্ত্রকের নির্দেশে ওই দম্পতি, তনভি শেঠ ও আনাস সিদ্দিকির নথিপত্র খতিয়ে দেখবে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy