Advertisement
০১ নভেম্বর ২০২৪
Telengana

প্রতিবন্ধী পুত্রকে কাছে রাখতে চাওয়ায় শ্বশুরবাড়ির নির্যাতন! ২২ তলা থেকে ঝাঁপ মহিলার

হায়দরাবাদের কুকাটপল্লি এলাকার ঘটনা। নিহত মহিলার নাম রামা ভেঙ্কটলক্ষ্মী গণপথু স্বাতী (৩৬)। স্বাতীর বাবা-মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ স্বামী-সহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে।

মৃত মহিলার নাম রামা ভেঙ্কট লক্ষ্মী গণপথু স্বাতী (৩৬)।

মৃত মহিলার নাম রামা ভেঙ্কট লক্ষ্মী গণপথু স্বাতী (৩৬)। প্রতীকী ছবি।

সংবাদ সংস্থা
হায়দরাবাদ শেষ আপডেট: ১৮ জানুয়ারি ২০২৩ ১২:৫৮
Share: Save:

মানসিক ভাবে অসুস্থ পুত্রকে কাছে রাখতে চাওয়ায় স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা নির্যাতন করতেন বলে অভিযোগ! ২২ তলা থেকে ঝাঁপ মেরে আত্মহত্যা করলেন এক মহিলা। তেলঙ্গানার হায়দরাবাদের কুকাটপল্লী এলাকার ঘটনা। মৃত মহিলার নাম রামা ভেঙ্কট লক্ষ্মী গণপথু স্বাতী (৩৬)। স্বাতীর বাবা-মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তাঁর স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি, ননদ এবং ননদের স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে।

হায়দরাবাদের পুলিশ আধিকারিক কিষাণ কুমার জানিয়েছেন যে, ২০১৩ সালে অন্ধ্রপ্রদেশের কাকিনাড়ার সমরলাকোটার বাসিন্দা শ্রীধরকে বিয়ে করেন স্বাতী। শ্রীধর পেশায় সফটওয়্যার কর্মচারী। এই দম্পতি হায়দরাবাদের কেপিএইচবি কলোনিতে থাকতেন। বিয়ের তিন বছরের মাথায় দম্পতির পুত্রসন্তান হয়। তবে ওই সন্তান জন্ম থেকেই মানসিক ভাবে অসুস্থ।

সন্তান সাত বছরে পা দেওয়ার পর থেকেই স্বাতীর স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির সদস্যেরা ছেলেকে অনাথ আশ্রমে পাঠানোর জন্য স্বাতীর উপর চাপ সৃষ্টি করছিল। কিন্তু স্বাতী কিছুতেই রাজি হননি। অভিযোগ, এর পর থেকেই স্বাতীর উপর নির্যাতন চালাতে থাকেন শ্রীধর এবং শ্বশুরবাড়ি বাকি সদস্যরা।

স্বাতী তাঁর পুত্রের চিকিৎসার জন্য বাবা-মায়ের কাছ থেকে আর্থিক সাহায্য নিয়েছিলেন। সেটাও মেনে নেয়নি শ্রীধরের পরিবার। তা নিয়ে মাঝেমধ্যেই কথা শোনানো হত স্বাতীকে। পুলিশ সূত্রে খবর, দীর্ঘ দিন ধরে চলা নির্যাতন সহ্য আর সহ্য করতে না পেরে রবিবার রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ আবাসনের ২২ তলা থেকে ঝাঁপ দেন তিনি। মাটিতে পড়ার পরই মৃত্যু হয় স্বাতীর।

স্বাতীর ভাই হেমন্ত বলেন, “বিয়ের তিন বছর পর স্বাতী পুত্রসন্তানের জন্ম দেন। বাচ্চাটি মানসিক ভাবে প্রতিবন্ধী ছিল। জন্মের পর থেকে সে স্বাতীর সঙ্গে আমাদের বাড়িতেই থাকত। শ্রীধর এবং তাঁর বাবা-মা তিন বছর ছেলেকে দেখতে আসেননি। অনাথ আশ্রমে রেখে আবার সন্তানধারণের জন্যও চাপ দেওয়া হয় স্বাতীকে। আমরা শ্রীধরের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলাম। পুলিশ ওঁকে ডেকে পাঠানোর পর ও আশ্বাস দিয়েছিল যে আমার বোন এবং সন্তানকে ভবিষ্যতে কষ্ট দেবেন না। এর পর স্বাতী ছেলেকে নিয়ে শ্বশুরবাড়ি ফিরে যায়। রবিবার শ্রীধর ফোন করে আমাদের জানায় যে বোন আহত। আমরা গিয়ে দেখি যে ওর মৃত্যু হয়েছে।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Telengana Death Mentally Unstable
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE