কনকদুর্গা ও বিন্দু
ভাঙল প্রাচীর! পারলাম আমরা!
প্রথম বার চেষ্টা হয়েছিল দিনদশেক আগে। মন্দির ফটকের এক কিলোমিটারের মধ্যে পৌঁছেও ফিরে আসতে হয়েছিল সে দিন ‘ভক্ত’দের বাধায়। এ বার আর মাথা নিচু করে ফেরা নয়। দ্বিতীয় বারের চেষ্টা সফল।
শবরীমালায় বুধবার কাকভোরে পৌঁছেছিলাম আমরা। মানে আমি আর কনকদুর্গা। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরে নানা ভাবে অন্তত তিন ডজন মহিলা চেষ্টা করেছেন মন্দিরে প্রবেশ করার। প্রতি বারই বাইরে তুলকালাম হয়েছে। শেষ পর্যন্ত আয়াপ্পা দর্শন হল আমাদের। কাউকে আঘাত করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়। কিন্তু মহিলা ভক্তদের আটকানোর জন্য জোর করে যে বাধার প্রাচীর তোলা হচ্ছিল, সেটাই আমরা ভাঙতে চেয়েছিলাম। মন্দিরের ভিতরে কেউ কিন্তু বাধা দেননি। বিক্ষোভ বা হইচই যা হচ্ছে, সবই বাইরে।
রাজ্য সরকার আমাদের সব রকম ভাবে সাহায্য করেছে। নববর্ষের রাতে দেড়টা নাগাদ পৌঁছে গিয়েছিলাম বেস ক্যাম্পে। সঙ্গে আরও কিছু মহিলা ছিলেন। জঙ্গলের পথ বেয়ে মধ্যরাতে উপরে ওঠার সময়ে সাদা পোশাকের পুলিশ সঙ্গে ছিল। সোনার জলের মিনে করা মন্দিরের ১৮ ধাপ সিঁড়ি অবশ্য ভাঙিনি আমরা। ভোর সাড়ে তিনটে নাগাদ মন্দিরে পৌঁছে ভিআইপি গেট দিয়ে সোজা চলে গিয়েছি ভিতরে। আয়াপ্পা দর্শনের পরে সরকারি বাসে চেপে দ্রুত নেমেও এসেছি পম্পায়। তার পরে পাতানামতিট্টা জেলার সার্কিট হাউসে নিরাপত্তার ঘেরাটোপে।
আরও পড়ুন: ইতিহাস! শবরীমালা মন্দিরে প্রবেশ দুই পূজারিনির, প্রতিবাদ-বিক্ষোভে উত্তাল কেরল
বাড়িতে কাউকে না জানিয়েই আয়াপ্পা দর্শনে এসেছিলাম আমরা। জানিয়ে এলে পাছে পরিবার বাধা দেয়! বাড়ি থেকে না জানিয়ে চলে আসার কয়েক দিন পরে দুর্গার স্বামী পুলিশে নিখোঁজ ডায়েরি করেছিলেন। খবর পেয়ে দুর্গাই যোগাযোগ করে স্বামীকে জানান, আমরা আপাতত ঘাপটি মেরে আছি! এখন খবর পেয়েছি, মন্দির দর্শনের পরে মলপ্পুরম জেলায় দুর্গা এবং কোঝিকোড়ে আমাদের বাড়ির বাইরে পাহারা বসেছে।
বিক্ষোভ, বিতর্ক চলবে এখন। তবে আমাদের স্বস্তি, মহিলাদের সমানাধিকারের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে থাকা প্রাচীরটা পেরোনো গিয়েছে।
(অনুলিখিত)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy