সোমবার মধ্যরাতে গোপীনাথ মন্দিরের দরজা খুলে গয়নাগুলি ফেরত দিয়ে যান চোর। ছবি: সংগৃহীত।
চুরি করেছিলেন ২০১৪ সালে। কিন্তু চুরি করার পর থেকে দু’দণ্ড শান্তি পাননি তিনি! এমনটাই দাবি করে ন’বছর পর মন্দির থেকে চুরি করা সমস্ত গয়না ফেরত দিয়ে গেলেন এক চোর। পাশাপাশি, প্রায়শ্চিত্তস্বরূপ ৩০০ টাকা ‘জরিমানা’ও দিয়ে গেলেন। ওড়িশার গোপীনাথপুরে ঘটনা।
২০১৪ সালে ওড়িশার গোপীনাথপুরের গোপীনাথ মন্দির থেকে চুরি গিয়েছিল আরাধ্য রাধাকৃষ্ণের বহুমূল্য গয়না। গয়নাগুলির মধ্যে ছিল রূপোর বাঁশি, চোখ, ছাতা, মুকুট, কানের দুল, ব্রেসলেট, প্লেট এবং ঘড়ি। সেই সমস্তই একটি ব্যাগে করে মন্দিরে ফেরত দিয়ে গিয়েছেন সেই চোর।
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ওই চোর সোমবার মধ্যরাতে গোপীনাথ মন্দিরের দরজা খুলে গয়নাগুলি ফেরত দিয়ে যান। সঙ্গে ক্ষমা চেয়ে একটি চিঠিও লিখে যান। রেখে যান ৩০০ টাকাও।
চিঠিতে মন্দিরের পুরোহিতকে সম্বোধন করে তিনি লেখেন, ‘‘ন’বছর আগে মন্দির থেকে গয়না চুরি করেছিলাম। তার পর থেকেই দুঃস্বপ্ন দেখছিলাম। স্বপ্নাদেশও পেয়েছিলাম। একটুও শান্তি পাইনি। আমার বড় ভুল হয়ে গিয়েছে। প্রায়শ্চিত্ত করতে জরিমানা হিসাবে ৩০০ টাকা দিয়ে গেলাম।’’
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সম্প্রতি ভগবত গীতা পড়ার পর তাঁর চেতনা ফেরে এবং তিনি ভুল বুঝতে পারেন বলেও নাকি চিঠিতে লেখেন ওই চোর।
গোপীনাথ মন্দিরে ২০১৪ সালে চুরির ঘটনায় এলাকা জুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। লিঙ্গরাজ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন গ্রামবাসীরা। কয়েক দিন খোঁজাখুঁজির পরও চুরি যাওয়া গয়নার হদিস না মেলায় গ্রামবাসীরা আশা ছেড়ে দেন। তবে দেবতার গয়না ফেরত পাওয়ায় উদ্যাপন শুরু হয়েছে গোপীনাথপুরে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy