দুই রাজ্যের ভোটযুদ্ধে জিতে আসার পর বুধবারই প্রথম বৈঠকে বসল বিজেপি নেতৃত্ব। সেই বৈঠকে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়লেন নরেন্দ্র মোদী। ইতিহাসে ফিরে গেলেন তিনি। ইন্দিরা গাঁধী জমানার দোর্দণ্ড প্রতাপ কংগ্রেসের কথা মনে করালেন। তার পরেই বর্তমানে ফিরে এসে সেই কংগ্রেসের পাশাপাশি রাখলেন নিজের জমানার বিজেপি-কে। ইন্দিরার আমলে কংগ্রেস যতগুলি রাজ্যে ক্ষমতায় ছিল, আজ বিজেপি তথা এনডিএ তার চেয়েও বেশি সংখ্যক রাজ্যকে শাসন করছে— দলের সাংসদদের বুধবার এ কথাই বললেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী।
১৯৮৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে মাত্র ২টি আসনে জয়ী হয়েছিল বিজেপি। সেখান থেকে আজকের অবস্থায় পৌঁছতে কতটা পথ পেরতে হয়েছে দলকে, মোদী তারই ব্যাখ্যা দেন দলীয় বৈঠকে। খবর বিজেপি সূত্রের। সেই প্রসঙ্গেই নরেন্দ্র মোদী বলেন, ‘‘এটা খুব বড় একটা জয়। আমরা এখন ১৯টা রাজ্য শাসন করছি। ক্ষমতাসীন ইন্দিরা গাঁধী ১৮টা রাজ্যে ছিলেন।’’ ইন্দিরার প্রবল জনপ্রিয়তায় ভর করে কংগ্রেস যতগুলি রাজ্যে ক্ষমতা দখল করতে পেরেছিল, বিজেপি যে আজ তার চেয়েও বেশি রাজ্যে ক্ষমতায় রয়েছে, দলের সাংসদদের সে কথাই সম্ভবত মনে করিয়ে দিতে চাইছিলেন মোদী। তবে নেতৃত্বের প্রতি মোদীর সতর্কবার্তা— আত্মতুষ্টির কোনও স্থান নেই, কারণ সামনের বছরেই অনেকগুলি রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে। ২০১৯ সালে রয়েছে লোকসভা নির্বাচন।
আরও পড়ুন: ভোটের মুখে প্রকাশ্যে এল চিকিৎসাধীন জয়ার ভিডিও, জোর তরজা তামিলনাড়ুতে
আরও পড়ুন: রামমন্দির পরিকল্পনা ঘোষণা বছর শেষে
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ অবশ্য ইন্দিরা জমানার পরিস্থিতির সঙ্গে বর্তমান পরিস্থিতির তুলনায় নারাজ। তাঁরা বলছেন, প্রথমত, ইন্দিরার সময়ে জোটের ভিত্তিতে নয়, মূলত একার শক্তিতেই ১৮টি রাজ্যে ক্ষমতায় ছিল কংগ্রেস। দ্বিতীয়ত, আজ ভারতের মানচিত্রে যতগুলি রাজ্য দেখা যায়, ইন্দিরা জমানায় দেশে ততগুলি রাজ্য ছিল না। কারণ অনেক রাজ্যই অবিভক্ত ছিল এবং এখনকার চেয়ে আকারে অনেক বড় ছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy