পঞ্চকন্যাকে সম্মান জানাতে শালিমারের নতুন উদ্যোগ
বলা হয়, নারীরা সমাজের এক অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। আমাদের চারপাশে গড়ে ওঠা এই সমাজ ও সংস্কৃতির প্রতিটি প্রয়োজনীয় জিনিসের মূলে আছেন নারীরা। যদিও অভিধানগত সংজ্ঞাতে কিন্তু কোনও ‘অঙ্গ’-কেই সামগ্রিক রূপে অভিহিত করা যায় না। তা হলে? মনে পড়ে, সেই বহুল প্রচলিত প্রবাদবাক্য — ‘প্রতিটি সফল পুরুষের নেপথ্যে রয়েছে এক মহিলার অবদান’? অথচ ভাল করে ভাবলে বোঝা যাবে, যদি কেউ ‘নেপথ্য’-নামক শব্দবন্ধনী নিয়ে প্রশ্ন তোলেন, তা হলে এই প্রবাদবাক্যও সামগ্রিকভাবে নারীকেন্দ্রিক প্রশংসা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারে বৈকি!
সময়ের শুরু থেকেই বিভিন্ন মতানৈক্য রয়েছে। তর্ক হয়। শুরু হয় বিতর্ক। পরিবর্তে প্রশ্ন ওঠে। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সমাজে নারীর অবদান প্রস্ফুটিত হতে থাকে। বাস্তবে তাঁদের বুদ্ধিদীপ্ততা, কৃতিত্ব এক কথায় অনস্বীকার্য। নারীদের সেই হার না মানা সত্ত্বাকেই কুর্ণিশ জানায় শালিমার। প্রতি বছর তারা আন্তর্জাতিক নারী দিবসকে উপলক্ষ করে সমাজের সমস্ত নারীদের ইতিবাচক কর্মকান্ডের প্রশংসা করে। সমাজে নারীদের এই অসামান্য অবদানকে শ্রদ্ধা জানাতে এই বছর শালিমার Enriched Coconut oil, দেশের পাঁচজন বিশেষ নারীকে চিহ্নিত করেছে এবং তাঁদেরকে এক অনন্য উপায়ে রোজকার গতে বাঁধা রুটিন থেকে বিরতি দেওয়ার জন্য এক উদ্ভাবনী প্রচেষ্টা করেছে।
এই ধারণার নেপথ্যে বেশ কয়েকটি বিশেষ কারণও রয়েছে। একথা সত্যি যে পরিবারের কোনও সদস্যাকে সর্বদা সেই পরিবারের মেরুদন্ড হিসেবে বিবেচনা করা হয়। যাঁর জাদুতেই সংশ্লিষ্ট পরিবার একত্রিত থাকে। হাজারো প্রতিশ্রুতি এবং সাফল্যের খতিয়ানে শীর্ষে থাকা সত্ত্বেও, তিনি পরিবারের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে পথ চলতে থাকেন। পরিবারের প্রতিটি সদস্যের যত্ন নেন, খেয়াল রাখেন। কোনও পরিবারে নারীর এই ভূমিকা এমনই যে তা কখনই প্রশংসার মাপকাঠিতে নির্ধারণ করা অসম্ভব। যতক্ষণ না তাঁকে বিরতি দেওয়া হয় নিজের খেয়াল রাখার জন্য, ততক্ষণ তিনি ছুটতে থাকেন নিজের খেয়ালে।
এই বছর নারী দিবসে শালিমার Enriched Coconut oil, সেই পাঁচ জন বেছে নেওয়া নারীদের জন্য এমন একটি অভিজ্ঞতা তৈরি করার পরিকল্পনা করেছ যা এর আগে হয়তো কখনও হয়নি। তাঁদের ‘গোলাপি শহর’ জয়পুর ভ্রমণের সমস্ত দায়িত্ব নিচ্ছে শালিমার। সেখানে তাঁদের জন্য অপেক্ষা করছে চিত্তাকর্ষক হট এয়ার বেলুন-এ যাত্রা। যে যাত্রা তাঁদেরকে খোলা আকাশে উড়ে যাওয়ার অভিজ্ঞতা প্রদান করতে প্রস্তুত। এ যেন মুক্ত বিহঙ্গের মতো ডানা মেলে উড়ে যাওয়া। তাঁরা প্রত্যেকে আকাশ ছোঁবেন এবং পাখির চোখে আমাদের দেশের ঐতিহ্যশালী ও গৌরবময় দৃশ্যের সাক্ষী থাকবেন।
ঐতিহ্যের কথা বললেই মনে পড়ে যায় শালিমারের পথ চলার গল্প। দীর্ঘ ৭ দশকেরও বেশি সময় ধরে শালিমার ভারতীয় মহিলাদের এই পরিবর্তনশীল প্রবণতা এবং তাঁদের গগনচুম্বি আকাঙ্খাকে সাক্ষী রেখে তালে তাল মিলিয়ে চলছে। তাঁদের অনুপ্রাণিত করেছে। একই সঙ্গে এই উদ্ভাবনী প্রচেষ্টার মাধ্যমে শালিমার প্রত্যেককে জানাচ্ছে, নারী দিবসের শুভেচ্ছা।
#BreakTheBias
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy