Advertisement
১৭ মে ২০২৪
National News

অভিযানে কেউ বাধা দিলে তাঁকে জঙ্গিই ভাবব: চূড়ান্ত সতর্কবার্তা সেনাপ্রধানের

সন্ত্রাস দমন অভিযানের সময় যাঁরা সেনাবাহিনীর বিরোধিতা করেন, বুধবার তাঁদের উদ্দেশে কড়া হুঁশিয়ারি দিলেন সেনাপ্রধান বিপিন রাওয়াত। ‘‘এনকাউন্টার চলাকালীন যাঁরা আমাদের অভিযানে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন এবং যাঁরা সহযোগিতা করেন না, তাঁদেরকে সন্ত্রাসবাদীদের লোক হিসেবেই ধরা হবে।’’

স্থানীয় প্রতিরোধ ভাঙতে সেনা এ বার যে কোনও পদক্ষেপ করতে পারে। জেনারেল রাওয়াত সে কথাই বুঝিয়ে দিলেন। ছবি: পিটিআই।

স্থানীয় প্রতিরোধ ভাঙতে সেনা এ বার যে কোনও পদক্ষেপ করতে পারে। জেনারেল রাওয়াত সে কথাই বুঝিয়ে দিলেন। ছবি: পিটিআই।

সংবাদ সংস্থা
শেষ আপডেট: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ২০:৩৯
Share: Save:

সন্ত্রাস দমন অভিযানের সময় যাঁরা সেনাবাহিনীর বিরোধিতা করেন, বুধবার তাঁদের উদ্দেশে কড়া হুঁশিয়ারি দিলেন সেনাপ্রধান বিপিন রাওয়াত। ‘‘এনকাউন্টার চলাকালীন যাঁরা আমাদের অভিযানে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন এবং যাঁরা সহযোগিতা করেন না, তাঁদেরকে সন্ত্রাসবাদীদের লোক হিসেবেই ধরা হবে।’’ সেনাপ্রধান এ দিন এমনই মন্তব্য করেছেন। শহিদ সেনা জওয়ানদের প্রতি দিল্লিতে শ্রদ্ধা জানানোর কর্মসূচিতে জেনারেল রাওয়াত এই মন্তব্য করেছেন।

শহিদদের শ্রদ্ধা জানানোর কর্মসূচিতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সেনাপ্রধান। ছবি: পিটিআই।

মঙ্গলবার জম্মু-কাশ্মীরের বান্দিপোরায় লস্কর-ই-তৈবার বিরুদ্ধে অভিযান চালাতে গিয়ে সেনাবাহিনীকে প্রবল প্রতিরোধের মুখে পড়তে হয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশই সেনা অভিযান ভেস্তে দিতে সক্রিয় হন। অভিযানে এক লস্কর জঙ্গি মারা পড়লেও আর এক জন পালাতে সক্ষম হয়। অপর পক্ষে সেনার অভিযানকারী দলটি যথেষ্ট ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়। তার প্রেক্ষিতেই যে জেনারেল রাওয়াত বুধবার এই কঠোর সতর্কবার্তা দিয়েছেন, সে কথা স্পষ্ট। তাঁর হুঁশিয়ারি, সেনা অভিযানে যাঁরা বাধা দেবেন বা অসহযোগিতা করবেন, তাঁদেরকে সন্ত্রাসবাদী হিসেবেই ধরা হবে এবং উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সেনাপ্রধান আরও বলেছেন, ‘‘স্থানীয় বাসিন্দারা (জম্মু-কাশ্মীরের) যদি আইএসআইএস-এর বা পাকিস্তানের পতাকা নাড়িয়ে সন্ত্রাসে সমর্থন জোগান, তা হলে আমরা তাঁদের দেশদ্রোহী বলে ধরে নেব।’’

আরও পড়ুন: আগুন নিয়ে খেলছে ভারত: তাইওয়ান প্রশ্নে তীব্র হুঁশিয়ারি চিনের

কাশ্মীরে মেজর-সহ হত ৪ সেনা

জম্মু-কাশ্মীরের দু’টি এলাকায় অভিযান চালাতে গিয়ে মঙ্গলবার মোট চার জন জওয়ান শহিদ হয়েছেন। বান্দিপোরায় অভিযানের সময় স্থানীয়দের তরফ থেকে প্রতিরোধ শুরু হয়েছিল বলেই বাহিনী বেশি ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রের খবর তেমনই। সেনাপ্রধান বুধবার যে বার্তা দিলেন, তাতে স্পষ্ট যে এ বার থেকে অভিযানের সময় বাধা বা অসহযোগিতার সম্মুখীন হলে স্থানীয়দের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করবে সেনা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE